আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ নিবিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারছে। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও তদারকির কারণে যাত্রীবাহী বাস, কোরবানীর গরু ও মালবাহী ট্রাকসহ অতিরিক্ত যানবাহনগুলো স্বাভাবিক গাড়িতে চলাচল করছে। তবে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও চার লেনের জন্য নির্মিত কাঁচা সড়ক দিয়ে দুরপাল্লার গাড়িগুলো পাশকাটিয়ে চলে যাওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে ছোট খাটো সড়ক দুর্ঘটনা না ঘটলে তেমন একটা যানজটের সৃষ্টি হবে না বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম। এছাড়াও মহাসড়ক সংস্কার ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে কয়েকটি পয়েন্টে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। বুধবার ভোর থেকে কয়েকটি পয়েন্টে যানবাহনগুলোর ধীর গতি রয়েছে। তবে চার লেনের কাজ চলমান থাকায় রাস্তা প্রসস্ত হওয়ায় এই যানবাহনগুলোকে কোথাও যানজটে পড়তে হয়নি।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের কাজ চলছে। এদিকে উত্তরবঙ্গের ২৬টি জেলার ৯২টি রোডসহ ১২২ রোডের যানবাহন এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করায় রাস্তায় যানবাহনের চাপ বেশি থাকছে। যার কারণে এ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল এমনিতেই ধীর গতি রয়েছে। এর মধ্যে ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তায় বিকল হওয়া ও ছোট খাটো দুর্ঘটনার কারণে মাঝে মধ্যেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে যানজটের সূত্রপাত হলেও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ধেরুয়া রেলক্রসিং, গোড়াই বাসস্ট্যান্ড, মির্জাপুর বাইপাস, পাকুল্লা, নাটিয়া পাড়া, করটিয়া, পৌলি ও এলেঙ্গা পয়েন্টে অতিরিক্ত গাড়ির কারণে ধীর গতিতে চলাচল করছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম জানান, মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় সংস্কার কাজ চলছে। মহাসড়কের অনেকাংশেই একপাশ দিয়ে গাড়ী চলাচল করতে হয়েছে এ কারণে কয়েকটি পয়েন্টে যানজটের সৃষ্টি হলেও হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ সঠিক তদারকির কারণে কোথাও যানজট দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। মহাসড়ক সচল রাখতে সোমবার থেকে সাতশ' পুলিশ মহাসড়কে কাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/৩০ আগস্ট ২০১৭/হিমেল