নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার সীমানা সংলগ্ন লালপুরের কদমচিলান ইউনিয়নের দাঁইড়পাড়া গ্রামের প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিকের রহস্যজনক মৃত্যু ঘটনায় থানা পুলিশ কেওয়া বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে। কেওয়া বেগম প্রেমিকা সাগরী খাতুনের সৎমা ও ওই গ্রামের মো. শাহিনুর ফকিরের স্ত্রী। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং একই সময় ঘরের ভিতর থেকে ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি, মোবাইল সেট, চেকবই ও নগদ এক হাজার টাকা জব্দ করে নিয়ে যায় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ওবায়েত জানান, কাউছারের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রেমিকা সাগরী খাতুনের সৎমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রেমিকা সাগরী খাতুনের সন্ধানে এসে পিতা মো. শাহিনুর ফকিরের বাড়িতে প্রেমিক বরিশালের বাকেরগঞ্জের কাউছার হোসেন (৩৫) নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। অনেকে এই মৃত্যুকে আত্নহত্যা আবার কেউ কেউ হত্যাকাণ্ড বলছেন।
উল্লেখ্য, সাগরী ঢাকার আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাধে পরিচয় হয় বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের রিয়াজুল মির্জার ছেলে ও আশুলিয়ার ভ্যান চালক কাউছার হোসেনের সাথে। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। তারা আশুলিয়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে প্রায় দুই বছর একসাথে থাকেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর সকালে সাগরী তার ভাই নাহিদ হোসেনের সহযোগিতায় আশুলিয়ার বাসা থেকে ট্রাক যোগে আসবাব-পত্রসহ সকল মালামাল নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরে রাতে খোঁজ নিয়ে কাউছার তাদের বাড়িতে আসলে এ ঘটনা ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার