নিশ্চিতপুর এলাকায় দাদন আলী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গরুর গোবর ও ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষিত করার অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন।
বর্তমানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, দূষনমুক্ত নগরী গড়তে ঠাকুরগাঁও পৌর কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। পৌরসভায় ১২ টি ওয়ার্ডের ময়লা আবর্জনা রাস্তা ফেলে দূষিত না করার লক্ষে নিয়মিত প্রতিটি বাড়ি থেকে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। যারা পৌর এলাকার নিয়ম কানুন অবমাননতা করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কর্তৃপক্ষ।
১৯৫৮ সালের মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা কার্যক্রম চালু হয়। ১৯৯৭ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি ১ম শ্রেণিতে উন্নীতকরণ পৌরসভাটিকে। ৩০.৬৭ বর্গ কিলো মিটার আয়তন নিয়ে নিয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা গঠিত। ১২ টি ওয়ার্ডে ১ লক্ষ ৪০ হাজার জনসংখ্যা বসবাস করে। ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৮টি মৌজা ৫২টি মহল্লা রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভাকে আধুনিক পৌরসভা নগরে ইতো অনেক জনপ্রতিনিধি কাজ করেছেন ও বর্তমানেও করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে নিশ্চিতপুর এলাকায় দাদন আলী নামে এক ব্যক্তি গরুর গোবর ও ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষিত করার অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা দিয়েছেন পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন।
পৌর মেয়রের লিখিত নির্দেশনায় জানা যায়, নিশ্চিতপুর এলাকায় দাদন আলী নামে একব্যক্তির বাড়িতে গরুর গোরব ও ময়লা আর্বজনা যেখানে সেখানে ফেলে এলাকার পরিবশে পরিবেশ দূষিত করছেন। এলাকাবাসী ওই ব্যক্তিকে একাধিকবার সর্তক করলে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। এরই প্রেক্ষিতে ওই এলাকার প্রতিবেশীরা কাউন্সিলর ও পৌর মেয়রকে লিখিত অভিযোগ করেন দাদন আলীর বিরুদ্ধে। পৌর কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি নজরে নিয়ে দাদন আলীকে ৭ দিনের মধ্যে উক্ত স্থান থেকে গরুর গোবর ও আবর্জনা অন্যত্র সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায় এলাকার পরিবেশ দূষিত করার কারণে দাদন আলীর বিরুদ্ধে পৌর বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা উল্লেখ করেছেন।
নিশ্চিতপুর এলাকার আবুল কালাম জানান, এই এলাকায় মানুষ ইচ্ছে করেই রাস্তায় ময়লা আবর্জনা ফেলে। দাদন আলীর পাশের বাড়িটি আমার উনার গরুর গোবরের গন্ধে আপে পাশের মানুষ থাকতে পারে না। উনাকে গোবর গুলো ডাস্টবিনে ফেলার অনুরোধ করলেও কথা রাখেনি। আমরা সকলে চাই নিশ্চিতপুর এলাকায় আবর্জনা মুক্ত এলাকা গড়তে।
কাউন্সির রমজান আলী জানান, ঠাকুরগাঁও পৌরসভাকে মডেল পৌরসভা গড়তে আমরা সকলে জনপ্রতিনিধিরা কাজ করে যাচ্ছি। এলাকায় ড্রেনে নিয়মিত পরিস্কার ও বাড়ি বাড়ি ময়লা আর্বজনা আমাদের লোকজন সংগ্রহ করছে। দাদন আলীকে সর্তক করার জন্য মেয়র লিখিত নির্দেশনা দিয়েছেন।
দাদন আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বাড়িতে গরু পোষার কারণে গোবর কিছুটা দুর্গন্ধ সৃষ্টি করছে। যেহেতু এলাকার মানুষ অভিযোগ করেছেন তাই পৌরকর্তৃক্ষের নির্দেশনা মানতে হবে।
ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন জানান, পৌরসভাটিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, দূষনমুক্ত, নাগরিক সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করার চেষ্টা করছি। এলাকায় কোন ব্যক্তির অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষনিক সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমি গত দেড় বছর যাবৎ ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র পদে রয়েছি। কিন্তু এ দেড় বছরে পৌরসভার উন্নয়নের জন্য সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ পাইনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার