রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার মাঝেও কক্সবাজারের টেকনাফ বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলার থেকে ৮ লাখ পিস ইয়াবা ও মিয়ানমার নাগরিকসহ ৪ জনকে আটক করেছে র্যাব-৭। তবে রাখাইন রাজ্যের ঘটনার এক মাসের মাথায় ইয়াবার দুইটি বড় চালান র্যাব ও বিজিবি আটক করতে সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে।
টেকনাফ অস্থায়ী ক্যাম্পে র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, র্যাবের একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকার গভীর সমুদ্রে একটি মাছ ধরার ট্রলারকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। পরে আটক ট্রলারটি তল্লাশি চালিয়ে মাছ রাখার প্রকোষ্টে সুকৌশলে লুকানো অবস্থায় ৮ লাখ পিস ইয়াবার প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। এ সময় ট্রলার ও মিয়ানমার তিন নাগরিকসহ ৪ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হল, টেকনাফের ধুমপারার বিল এলাকার মৃত সোবহান হাওলাদারের ছেলে মো. আলী (৪৫), মিয়ানমার মংডু হাইসুরাতা এলাকার আবুল বশরের ছেলে হাফিজুল্লাহ (২৪), নারির বিল এলাকার মুত হোছনের ছেলে বদি আলম(৪৫) ও বুচিদং কিতার বিল এলাকার মৃত নজু মিয়ার ছেলে মো. জমিল(২৪)। উদ্ধার ইয়াবার মূল্য ৪০ কোটি টাকা বলে জানায়।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমার ও দেশীয় চোরাচালানীদের কয়েকটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্র মাছের ব্যবসার আড়ালে ইয়াবার চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। এর ফলে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম সমুদ্র টহল জোরদার করেন। টেকনাফ থেকে চট্রগ্রাম রুটে অভিযান চালিয়ে ইয়াবার বেশ কয়েকটি বড় বড় চালান আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, র্যাব-৭, চট্টগ্রামে চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখ ১২ হাজার ৮৬৫ পিস ইয়াবা, ৪৫ হাজার ৯৪ বোতল ফেন্সিডেল, ৩ হাজার ১৪১ বোতল বিদেশী মদ ও বিয়ার, ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩০২ লিটার দেশীয় তৈরি মদ, ৬২২ কেজি ৫শ গ্রাম গাঁজা, ১ কেজি ২শ গ্রাম হিরোইন এবং ২ কেজি ৪শ গ্রাম আফিম উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের যুব সমাজকে মাদকের ভযাল থাবা থেকে রক্ষায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ান (র্যাব) দেশব্যাপী মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচানা করে আসছে এবং ইতিমধ্যে বিশেষ ভাবে প্রশংসিত হয়েছে বলে জানায়।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্টী প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে শরণার্থী হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচেছ। সে দেশটির সেনা ও মগের বর্বরতা ও বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ায় এখনো দলে দলে রোহিঙ্গারা শরণার্থী হয়ে পালিয়ে আসছেন। এরই ফাঁকেও মাদক পাচারকারী সংঘবদ্ধ চক্র মরণ নেশা ইয়াবা পাচারে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই সব ইয়াবা পাচারকারী কারা তাদের খোঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থার দাবি করছে এলাকাবাসী।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার