আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় বসাতে হবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা শেখ হাসিনার হাতে থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার শরীয়তপুরের সখিপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম নিয়েছিলেন বলেই আজ বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। একইভাবে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশের মহান স্থপতির রক্তে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বাংলাদেশ আজকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতো না। বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতো না। মানুষের ভাত ভোটের অধিকার ফিরে পেত না। তাই স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সখিপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্ল্যা, আবুল হাসেম দেওয়ান চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা মোয়াজ্জেম সরদার, জিতু মিয়া বেপারী চেয়ারম্যান, মোজাম্মেল মোল্ল্যা চেয়ারম্যান, ইউনুস সরকার চেয়ারম্যান, মানিক সরদার চেয়ারম্যান, কাওসার আহমেদ ত্বকী, খালেক খালাসী, সখিপুর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি রাসেল আহমেদ পলাশ, সোমেল সরদারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এনামুল হক শামীম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দেশকে উল্টোরথে নিয়ে যাওয়া শুরু করে। তারা ভেবেছিল এই দেশে বঙ্গবন্ধুর কথা আর কেউ বলতে পারবে না। তার হাতে গড়া রাজনৈতিক দল ও আদর্শের পতাকা কেউ তুলে ধরবে না। কিন্তু পিতা বিহীন বাংলাদেশে ১৯৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে দীর্ঘ সংগ্রাম করে মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন তারকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। একুশ বছর পর আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এনেছেন। শেখ হাসিনা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশে তখনই উন্নয়ন হয়েছে। তিনি অন্ধকার বাংলাদেশের আলো।
তিনি আরও বলেন, জাতির জনকের হত্যার পর জিয়া-এরশাদের সামরিকসহ যেসব সরকার এসেছে তারা দেশের কোন উন্নয়ন করেনি। তারা নিজেদের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত ছিল। মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার ছিল না। কিন্তু দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে দেশের মানুষ প্রথম উপলদ্ধি করতে পারেন, সরকার মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর মানুষের উন্নয়ন শুরু হয়। এরপর ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভের পর দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করার কার্যক্রম শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বড় কাজসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেন। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের রোল মডেল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজকে নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। আগামীতে ক্ষমতায় আসলে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। এ জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে এনামুল বলেন, নোবেল জয়ীদের ভূমিকা যখন প্রশ্নবিদ্ধ তখন শান্তির পতাকা হাতে নিয়ে মানবতার নেতাক হিসেবে আবিভূত হয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে মাদার অব হিউম্যানিটিতে উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। রোহিঙ্গারা তাদের সন্তানদের নাম রাখছেন শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু, জয় বাংলা। একজন মানুষের জীবনে জনগণের ভালবাসার উপরে কোন উপহার নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনার উদারতা প্রশংসা করছেন বিশ্ব নেতারা। তিনি এখন বিশ্ব মানববতাবাদী নেতায় পরিণত হয়েছেন। দিশেহারা মানুষের আলোকবর্তিকায় পরিণত হয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ তাফসীর