পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ইলিশ প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞার সচেতনতা এসেছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিশুদের মাঝেও। এর ফলে বেশ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অবরোধকালীন সময়ে মা ইলিশ শিকার। এমনই এক দৃশ্য দেখা গেল উপজেলার সাগর কূলের ধুলাসর ইউনিয়নের কাউয়ার চর এলকায়। আজ ওই এলাকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছুটি শেষে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফেরার পথে সৈকত তীর থেকে অদূরে পেতে রাখা কারেন্ট জাল তাদের চোখে পড়ে। কাছাকাছি কেউ না থাকায় ওই শিক্ষার্থীরা নৌকা নিয়ে জাল তুলে আনে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, এখন মাছ ধরা নিষেধ। সরকার আমাদের ভালোর জন্যই অবরোধ দিয়েছে। আমরা সবাই মিলে জাল তুলে তীরে এনেছি। প্রচারণার ফলে আবরোধের সময় জানতে পেরেছি। এটা অপরাধ তাও বুঝতে পেরেছি।
শিক্ষার্থী বায়েজীদ জানায়, নৌকা নিয়ে যেতে কিছুটা ভয় লাগছিল। তবুও সবাই মিলে করেছি।
এলাকার বাসিন্দা লুৎফুল হাসান রানা বলেন, বিগত বছরগুলোয় ইলিশ প্রজনন মৌসুম এবং জাটকা সংরক্ষণকালিন সময়ের অবরোধের ফলে ইলিশসহ অনান্য প্রজাতির মাছ বেড়ে গেছে। চলতি বছরে এজন্য ছিল অনেক বেশি প্রাচুর্যতা। একারনে এক যুগের মধ্যে এবছর নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল ইলিশ।
ধুলাসর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য জামান হোসেন বলেন, স্কুলের ছোট ছোট ছাত্ররা জাল তুলে এনে আমাদের খবর দেয়। আমরা এসে সে জাল পুড়িয়ে ফেলি।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সচেতন শিক্ষার্থীদের ধণ্যবাদ জানিয়ে বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের বিগত কয়েক বছর যাবত মা ইলিশের ধরার উপড় নিষেধাজ্ঞা, প্রচার-প্রচারনা, জেলেদের সাথে মতবিনিময়, আপতকালীন ভিজিএফ সুবিধা, জাটকা সংরক্ষনে বিকল্প কর্মসংস্থানের ফলে ইলিশের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে। ইলিশের ব্যাপক প্রাপ্তিতে জেলেদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া সাধারণ ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও ইলিশ প্রীতি গড়ে উঠেছে যা খুব ভালো লক্ষণ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার