অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকালে ঈশ্বরদী ষ্টেশন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় দুর্বত্তরা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক শাহিনজ্জামান শাহিনের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে জিআরপি থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে শাহিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সকালে তারা দুইজন কোথাও যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে ষ্টেশনে যায়। এ সময় ৬/৭ জনের একটি দল অতর্কিত তাদের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক শাহিনজ্জামান শাহিনের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শুনেছি একজনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাজশাহী পাঠানো হয়েছে। তবে আমাদের কাছে কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও ঘটনাটি জিআরপি থানা এলাকায় ঘটেছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হালিম খান বলেন, সকালে এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। মূলত বাহিরের ঘটনাটি ঘটলেও তারা দৌরে ষ্টেশনের আসে। পরে জখম অবস্থায় আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দেই। কেউ অভিযোগ করলে বিষয়টি আমরা দেখবো।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শীরহান শরীফ তমাল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, যারাই এই ঘটনার সাথে জড়িত থাক আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা খুজে বের করবেন। আর এ ধরনের ঘটনা কারোরই কাম্য নয়। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তারা মূলত সন্ত্রাসী, তাদের কোন দল নেই। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী না।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব সরকার বলেন, ২০১৩ সালে ঈশ্বরদী পোষ্ট অফিস মোড়ে বেলা বারটার দিকে আমার দুই হাতের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করে শাহিন। আমি যে কষ্টটা পেয়েছি সেই কষ্ট অন্য কাউকে দেওয়ার ইচ্ছা আমি পেষন করিনা। এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাক আমি বিচার দাবি করি। তবে এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার প্রশ্নই ওঠে না। ঈশ্বরদীতে দলের মধ্যে কোন্দল আছে বলে স্বীকার করি।
বিডি প্রতিদিন/৭ নভেম্বর ২০১৭/হিমেল