বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের রেজিস্ট্রারে কাটা-ছেড়া করে একই ব্যক্তির নামে দুটি মৃত্যু সনদ দেয়ায় সাবেক ইউপি সচিব ও গ্রাম পুলিশ সহ তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
বরিশালের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোমবার এই মামলা দায়ের করেন ওই উপজেলার চাঁদশী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কৃষ্ণ কান্ত দে।
মামলায় চাঁদশী ইউপি’র সাবেক সচিব অবিনাশ বাড়ৈ সৌরভ, উত্তর নাঠৈ গ্রামের গ্রাম পুলিশ সদস্য সন্তোষ কুমার দাস ও উত্তর নাঠৈ গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ মনজুর হোসেনকে বিবাদী করা হয়েছে। আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসিকে নির্দেশ দেন।
মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কান্তদে অভিযোগ করেন, তিনি অসুস্থ্য থাকায় বিবাদীরা উত্তর নাঠৈ সৈয়দ মনজুর হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে অবৈধভাবে লাভবান হয়ে তার মা (সৈয়দ মঞ্জুর) মরহুমা সৈয়দা হালিমন্নেছার মৃত্যুর সনদ দিয়েছে। পরস্পরের যোগসাজশে অভিযুক্তরা রেজিস্ট্রার কাটাছেড়া করে হালিমন্নেছাকে ১৯৮০ সালের ২ নভেম্বর মৃত্যু দেখিয়ে গত ১৮ এপ্রিল হালিমন্নেছার মৃত্যুর সনদ দেয়।
এর আগেও তারা ১৯৮৭ সালের ৪ মার্চ মৃত্যু দেখিয়ে হালিমন্নেছার মৃত্যু সনদ প্রদান করেন। প্রথমবার দেয়া সনদের বিষয়টি গোপন রেখে অভিযুক্তরা দ্বিতীয়বার সনদ প্রদান করে। বিষয়টি ধরা পড়ার পর অভিযুক্তদের শোকজ করা হলেও তারা সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে উল্টো চেয়ারম্যানকে বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তিনি অসুস্থ্য থাকায় তাকে ভুল বুঝিয়ে বিবাদীরা এ কাজ করছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর