বগুড়া গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাবতলী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. নুরুজ্জামান জানান, গত ১১ জানুয়ারিতে বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এই মামলায় ৯জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, গাবতলীর আটবাড়িয়া গ্রামের বুলু প্রাং এর ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩৫), লাগড়ার ছেলে শহীদুল (৩০), আয়েজ উদ্দিনের ছেলে ফেরদৌস (৩০), দুলুর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২), বনিজ আকন্দের ছেলে জহুরুল ইসলাম সান্না (৩৫), চাঁন মিয়ার ছেলে দুলাল (৩২), সাবেকপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মৃত বিলু মাষ্টারের ছেলে আইনুল হক বিদ্যুত (৪৫), বগুড়া সদরের লক্ষীপুর পীরগাছা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মানিক (৩২) এবং বথুয়াবাড়ী গ্রামের ফেরদৌস সরকার ওরফে খাজা ডাক্তারের ছেলে সিহাব সরকার তুষার (৩৩)। এদের মধ্যে হেলাল, মানিক ও ফেরদৌস কারাবন্দী থাকলেও পলাতক রয়েছে শহিদুল, সাইফুল, দুলাল ও বিদ্যুত। জামিনে রয়েছে জহুরুল ইসলাম সান্না ও সিহাব সরকার ওরফে তুষার।
উল্লেখ্য, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তারাজুল তার স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি একই উপজেলার আটবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। ২০১৬ সালের ৮ জুলাই রাত আনুমানিক দেড়টায় দিকে সন্ত্রাসীরা কৌশলে তাঁর ঘরের জানালা খুলে ঘুমন্ত অবস্থায় তারাজুলের মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর বগুড়ায় তারাজুলের অপারেশন করে চিকিৎসকরা গুলি বের করলেও কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস (লাইফ সাপোর্ট) থাকা অবস্থায় ওই বছরের ২৩ জুলাই রাত সাড়ে ৮টায় তিনি মারা যান। এঘটনায় তারাজুলের স্ত্রী আরজুমান্দ বানু শাপলা বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ১২ জুলাই অজ্ঞাতদের নামে গাবতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।