বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- যুদ্ধই নেতানিয়াহুর টিকে থাকার শেষ আশ্রয়!
- ইরাক থেকে শিক্ষা নেয়নি ইসরায়েল
- ইরানে ইসরায়েলের হামলা: পারমাণবিক দূষণের শঙ্কা বিশ্বজুড়ে
- হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ফিরোজায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
- ডেঙ্গু রোগীর খাদ্য ব্যবস্থাপনা
- জটিলতার পাহাড়ে সংসদীয় আসন
- ফের ইসরায়েলের দিকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান
- যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে সরাসরি হুমকি দিলেন খামেনি
- নড়াইলে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- কক্সবাজারেও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, আক্রান্ত ১৩
- কক্সবাজারে আলোচিত হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
- ফটিকছড়ির ধুরুং খালে আবারও নারী নিখোঁজ
- কুতুপালং ক্যাম্পে স্ত্রীর দুই হাতের কব্জি কেটে দিলেন স্বামী
- চাঁদপুরে সরকারি চাল উদ্ধার, গ্রাম পুলিশ সদস্য আটক
- বান্দরবানের দেবতাখুম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা
- ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬৫৫৮
- পরমাণু স্থাপনার কিছুই করতে পারেনি ইসরায়েল, দাবি ইরানের
- দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় পারস্পরিক অবস্থান জানার সুযোগ হয়েছে : আলী রীয়াজ
- বিশ্ব এখন বিপর্যয় থেকে মাত্র কয়েক মিলিমিটার দূরে: রাশিয়া
- ইরানে হামলা করবেন কি, জবাবে যা বললেন ট্রাম্প
স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ তিন জনের ফাঁসি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

পরকীয়ার জের ধরে পাবনায় স্বামী মোশাররফ হোসেনকে হত্যারে দায়ে রাজশাহীর আদালতে স্ত্রী কুলসুম নাহার বিউটিসহ তিনজনের ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুরে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরিন কবিতা আক্তার এ রায় দেন। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। স্ত্রী বিউটি আদালতে হাজির থাকলেও অপর দুই আসামি পলাতক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাবনা সদর থানার গোপালপুর এলাকার গোলাম মোহাম্মদের মেয়ে কুলসুম নাহার ওরফে বিউটি (৪৬), জেলার আতাইকুলা উপজেলার রাণীনগর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে রুহুল আমিন (৪৭) এবং একই গ্রামের মৃত ইয়াসিন মোল্লার ছেলে সোলেমান আলী (৪৫)।
কুলসুম নাহারের স্বামী মোশাররফ হোসেন ওরফে খোকন মৃধাকে (৫০) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে তাদের এই দণ্ড দেওয়া হলো। নিহত মোশাররফ পাবনা সদর থানার টেকনিক্যাল মোড়ের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে। মোশাররফ হোসেন লালনের একজন ভক্ত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, রায় ঘোষণার সময় শুধু বিউটি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই আসামি ঘটনার পর গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিন নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এই তিন আসামিই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত কুলসুম নাহারকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, টাকার ওপরে মোবাইল নম্বর পেয়ে এক ছেলে ও দুই মেয়ের মা কুলসুম নাহারের সঙ্গে কথা শুরু করেন রুহুল আমিন। পরে তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। একবছর ধরে চলা এ সম্পর্কের জেরে তারা অবৈধ সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা মোশাররফ হোসেনকে তাদের ‘পথের কাটা’ মনে করেন। তাই তারা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১১ সালের ৩০ জুন রাতে কুলসুম নাহারের পরকীয়া প্রেমিক রুহুল আমিন তার বন্ধু সোলেমান আলীকে নিয়ে পবনা শহরের কালাচাঁদপাড়া মহল্লায় মোশাররফের ভাড়া বাসায় যান।
এরপর তারা মোশাররফের ঘরে লুকিয়ে থাকেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোশাররফ হোসেন ঘরে ফিরলে তারা তিনজন মিলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর গুম করতে লাশ একটি বস্তার ভেতর ঢোকানো হয়। কিন্তু এরই মধ্যে প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে যান। তখন রুহুল আমিন ও সোলেমান আলী পালিয়ে যান। এরপর ওই রাতেই পাবনা সদর থানা পুলিশ গিয়ে মোশারফের বাড়ি থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তার স্ত্রী কুলসুম নাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে পরদিন থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। এ মামলার বিচারকাজ চলাকালে মোট ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, আসামি কুলসুম নাহার এক মাসের মধ্যে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করতে পারবেন। তার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন আইনজীবী মাহমুদুর রহমান রুমন।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে সচল, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতের ভিডিও প্রকাশ
১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে আজ পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক
১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম