বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- নিউ মার্কেটে ১১০০ সামুরাই ছুরি ও চাপাতি উদ্ধার
- জুলাই ঘোষণাপত্র থেকে নারীকে সচেতনভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে : খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম
- উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ভিত্তিহীন : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
- গাজীপুরে পদ্মা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত, ট্রেন চলাচল বন্ধ
- আমরা হাতে ধরে গণ-অভ্যুত্থানকে মেরে ফেলছি : সামান্তা শারমিন
- “জুলাই গণঅভ্যুত্থান” শীর্ষক সেমিনারের সংবাদ প্রকাশ ও বিএএসএ’র বক্তব্য
- নিজের অফিসে রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
- ‘কুলি’-তে রজনীকান্তের ১৫০ কোটি, আমিরের ১৫ মিনিটের জন্য ২৫ কোটি!
- তুষারের গোপন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি নীলার
- শিবচরে সংবাদ সম্মেলন করে এনসিপির ৪ নেতার পদত্যাগ
- শ্রীপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- বগুড়ায় করতোয়া নদী থেকে কৃষকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
- রাশিয়ায় ফের ভূমিকম্পের আঘাত
- বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
- গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যা মামলায় ৭ আসামি রিমান্ডে
- বন্ধুর ডাকে সাড়া নেই, খাটে মিলল গলা কাটা লাশ
- ‘স্ত্রীকে মেরে ফেলছি, আমাকে নিয়ে যান’, হত্যার পর ৯৯৯-এ স্বামীর ফোন
- রবিবার হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করবে ইসি
- বগুড়ায় নদীতে পানি বৃদ্ধি, ধসে পড়ছে সড়ক
- ডুয়েটে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কাল
স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ তিন জনের ফাঁসি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

পরকীয়ার জের ধরে পাবনায় স্বামী মোশাররফ হোসেনকে হত্যারে দায়ে রাজশাহীর আদালতে স্ত্রী কুলসুম নাহার বিউটিসহ তিনজনের ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুরে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরিন কবিতা আক্তার এ রায় দেন। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। স্ত্রী বিউটি আদালতে হাজির থাকলেও অপর দুই আসামি পলাতক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাবনা সদর থানার গোপালপুর এলাকার গোলাম মোহাম্মদের মেয়ে কুলসুম নাহার ওরফে বিউটি (৪৬), জেলার আতাইকুলা উপজেলার রাণীনগর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে রুহুল আমিন (৪৭) এবং একই গ্রামের মৃত ইয়াসিন মোল্লার ছেলে সোলেমান আলী (৪৫)।
কুলসুম নাহারের স্বামী মোশাররফ হোসেন ওরফে খোকন মৃধাকে (৫০) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে তাদের এই দণ্ড দেওয়া হলো। নিহত মোশাররফ পাবনা সদর থানার টেকনিক্যাল মোড়ের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে। মোশাররফ হোসেন লালনের একজন ভক্ত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, রায় ঘোষণার সময় শুধু বিউটি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই আসামি ঘটনার পর গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিন নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এই তিন আসামিই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত কুলসুম নাহারকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, টাকার ওপরে মোবাইল নম্বর পেয়ে এক ছেলে ও দুই মেয়ের মা কুলসুম নাহারের সঙ্গে কথা শুরু করেন রুহুল আমিন। পরে তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। একবছর ধরে চলা এ সম্পর্কের জেরে তারা অবৈধ সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা মোশাররফ হোসেনকে তাদের ‘পথের কাটা’ মনে করেন। তাই তারা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১১ সালের ৩০ জুন রাতে কুলসুম নাহারের পরকীয়া প্রেমিক রুহুল আমিন তার বন্ধু সোলেমান আলীকে নিয়ে পবনা শহরের কালাচাঁদপাড়া মহল্লায় মোশাররফের ভাড়া বাসায় যান।
এরপর তারা মোশাররফের ঘরে লুকিয়ে থাকেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোশাররফ হোসেন ঘরে ফিরলে তারা তিনজন মিলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর গুম করতে লাশ একটি বস্তার ভেতর ঢোকানো হয়। কিন্তু এরই মধ্যে প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে যান। তখন রুহুল আমিন ও সোলেমান আলী পালিয়ে যান। এরপর ওই রাতেই পাবনা সদর থানা পুলিশ গিয়ে মোশারফের বাড়ি থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তার স্ত্রী কুলসুম নাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে পরদিন থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। এ মামলার বিচারকাজ চলাকালে মোট ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, আসামি কুলসুম নাহার এক মাসের মধ্যে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করতে পারবেন। তার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন আইনজীবী মাহমুদুর রহমান রুমন।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

হাসপাতালে ভর্তির সময় স্বামীর নামের জায়গায় নিজের নাম বসিয়েছে তুষার : নীলা ইস্রাফিল
৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হানিট্র্যাপ চক্রের সদস্যদের অপকর্মের ভিডিও করায় তুহিনকে হত্যা : জিএমপি কমিশনার
১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন