নেত্রকোনার মদন উপজেলার ত্রিয়শ্রী ইউনিয়নের মতোয়া গ্রামে জুয়ার আসর থেকে ১১ জুয়ারীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। মামলার পর মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০/ ১২ দিন ধরে স্থানীয় এলাকার বনাই ও হায়দার নামের দু'জন জুয়ার আসর বসায়। প্রায় প্রতিদিন রাতে মাতোয়া গ্রামের বন্ধে এই জুয়ার আসর বসে। জুয়ায় নেত্রকোনা কিশোরগঞ্জ ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন জুয়াড়ি প্রতি রাতে অংশ নেয়। এদিকে প্রায় প্রতি রাতে কোন না কোন বাড়িতে বা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটছে। গত রবিবার রাতে ফতেপুর ছত্রকোনা গ্রামের তাজমিয়ার বসত ঘরের দরজা ভেঙে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ টাকা নিয়ে যায়। একই রাতে শাহপাড়া এলাকার রতনের মনোহারি দোকানেও চুরি হয়।
এদিকে গোপন খবরের ভিত্তিতে নেত্রকোনার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে জুযার আসর থেকে ১১ জন জুয়াড়িকে আটক করে।
এ ব্যাপারে মদন থানার ওসি মো. শওকত আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, চুরি নিয়ে আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। এছাড়া ১১ জুয়াড়িকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
নেত্রকোনা ডিবি পুলিশের ওসি নাজমুল হাসান জানান, ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে কোর্টে সপোর্দ করা হবে।
এদিকে মদন উপজেলার মাতোয়া এলাকার জনৈক ফখরুদ্দিন নামের একজন জানান, গত প্রায় ১২ দিন ধরে চলছে জুয়া। চুরিও হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ জেনেও না জানার ভান করছিল। পরবর্তীতে সোমবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ হানা দিলে মূল আয়োজক বনাই ও হায়দারকে আটক করে। টাকার নিমিয়ে তাদেরকে পরে ছেড়েও দেয়। এদিকে এলাকাবাসী জোয়ার তাণ্ডবে অতিষ্ট হলে জুয়াড়িরা জানায়, তারা থানা ম্যানেজ করেই নাকি খেলাধুলা চালায়।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই যদি দেশের অবস্থা হয়, তাহলে মানুষ কার কাছে যাবে? কোথায় যাবে?
স্থানীয় ফতেপুর গ্রামের ইউপি মেম্বার ফরিদ উদ্দিন বলেন, এই এলাকায় এভাবেই জুয়ার আসর বসে এবং সাথে মাদক সেবন ও বিক্রি অবাধে হচ্ছে। আমরা কারোর কাছে বলে কোন সুরাহা পাচ্ছি না। তিনি চুরির ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, এলাকার মানুষ এখন আতংকে রয়েছে। গত রাতে কয়েকজন আটক হলেও আসল উদ্যোক্তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ জানুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব