নাটোরের সিংড়ায় জোড়া খুন মামলার পলাতক আসামি ফারুক আলীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ। নওগাঁর আত্রাই উপজেলারখরসোতি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ফারুক ওই গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, ফারুক সিংড়া উপজেলার চক নওগাঁ গ্রামের নসিবুর রহমান নসিব (২৪) ও তৌফিকুল ইসলাম (৩৮) হত্যা মামলার আসামী। গত বছরের জুন মাসে নসিবুর খুন হওয়ার ৭ মাসের ব্যবধানে তৌফিকুল খুন হয়। প্রতিবেশীর মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনায় বিরোধে নাসিবুর খুন হয়। পরে ওই খুনের মামলার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী তৌফিকুল খুন হয়। তৌফিকুল খুনের মামলা দায়েরের পর থেকে ফারুক পলাতক ছিল।
সিআইডি পুলিশ ও নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার চক নওগাঁ গ্রামের ফুয়াদ আলীর ছেলে নসিবুর রহমান নসিব প্রতিবেশী আকতারের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে আঁখিকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। এ নিয়ে ওই দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চরমে উঠলে এক পর্যায়ে দুজনার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরই এক পর্যায়ে গত বছরের ১৭ জুন রাতে নসিবুর খুন হয়। ওই রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে হত্যা করা হয়। এঘটনায় নসিবুরের বাবা ফুয়াদ আলী বাদী হয়ে আঁখির বাবা আকতার ও গ্রেপ্তারকৃত ফারুক সহ ৭ জনকে আসামী করে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা আদালত থেকে জামিন নেয়। ওই মামলা চলাকালীন একই বছরের ১৬
ডিসেম্বর বিজয় দিবসের রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই মামলার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী নসিবের প্রতিবেশী ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে তৌফিককে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। দুর্বৃত্তরা তাকে মারপিট ও শ্বাসরোধ করার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে অবস্থায় উদ্দার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তৌফিক মারা যায়। এঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল কুদ্দুস বাদি হয়ে থানায় অপর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলা দায়েরের পর থেকে ফারুক গা ঢাকা দেয়।
সিআইডি পুলিশের কর্মকর্তা এসআই মাসুদ করিম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ফারুক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার