নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া ছোট ফেনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় এলাবাসীরা জানায়, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকে প্রভাবশালী একটি মহলের সহযোগিতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে। বালু উত্তোলনের কারণে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুছাপুর ক্লোজার সড়ক, মুছাপুর ক্লোজার, ফসলি জমি, ঘরবাড়িসহ বিস্তীর্ণ এলাকা দু’এক বছরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
ওই অবৈধ বালু উত্তোলন কাজের তদারকি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের টুটুল নামের এক কর্মকর্তা। তবে সরেজমিনে গিয়ে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। এ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গত ৪ ফেব্রুয়ারি বালু উত্তোলনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশ দেন। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যানের এমন নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেই বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন ওই প্রভাবশালী চক্রের সদস্যরা।
মিজানুর রহমান বাদল অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে স্থানীয়রা জানালে তিনি ঘটনাস্থল পরির্দশন করে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামিরুল ইসলামকে মুঠোফোনে অবহিত করলে, তিনি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
অন্যদিকে, বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয়দের ভিতর এ নিয়ে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার