আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার যে রায় আদালত দিয়েছে এ রায় বাংলাদেশের দুর্নীতিপ্রবণ রাজনীতিকদের জন্য সর্তকবার্তা। আজ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা দ্বিতীয় সেতুর সুপার স্ট্রাকচার কাজের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারির রায় যে যেভাবেই দেখুন না কেন। আমরা মনে করি- দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদালত যে রায়টি দিয়েছেন এ রায় বাংলাদেশের দুর্নীতিপ্রবণ রাজনীতিকদের জন্য সর্তকবার্তা। আমি এভাবেই বিষয়টিকে দেখছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি মীর্জা ফখরুল সাহেবের জায়গায় থাকলে একই কথা বলতাম। এটা বলবেই। কেউ কি মেনে নেয় আমি দুর্নীতিবাজ। তবে বিএনপি তাদের গঠণতন্ত্র থেকে সাত ধারা রায়ের আগে রাতের আধারে তুলে দিয়ে তারা প্রমাণ করেছে তারা আত্মস্বীকৃত দুনীর্তিবাজ দল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পলিটিক্যাল বক্তব্য ভালো ভালো কাজকে ঢেকে দিচ্ছে। এ তিনটি সেতু নির্মাণ দেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বর্পূণ। পলিটিক্যাল বক্তব্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা আমাদের মুখ্য কাজ নয়। দেশের উন্নয়নটা আমাদের কাছে মুখ্য। রাজনীতি আছে, থাকবে। রাজনৈতিক দল আছে, দেশে নির্বাচন আছে, এসব জেল জুলুমও থাকে, রাজনীতি করলে জেল জুলম তো আছে এগুলো সহ্য করেই এখানে ক্ষমতায় এসেছি। আমাদের নেত্রীকেও জেল খাটতে হয়েছে। আমার নিজেরও চার বছর জেল জীবন। এগুলোই আমাদের জীবন। জেল যাওয়াটা রাজনীতির অনুসঙ্গ বলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট নিরসনের জন্য দ্বিতীয় কাচঁপুর, মেঘনা ও মেঘনা গোমতী এ তিনটি নতুন ফোর লেন সেতুর নির্মাণ করা হচ্ছে। যেটা আগে ছিলো দুই লেনের সেতু। ফোর লেন রাস্তা। যে কারনে রাস্তাায় যানজট হতো।
মন্ত্রী সেতু নির্মাণ কাজে নিয়োজিত জাপানী নাগরিকদের প্রশংসা করে বলেন, এ তিনটি সেতু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ছিলো ২০১৯ সালের জুন মাস। কিন্তু জাপানিদের তৎকর্ম পরিকল্পনা ও আধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জামাদি ব্যবহারের কারণে সেখানে এখন টার্গেট হচ্ছে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস। অর্থ্যাৎ ছয় মাস আগেই এ সেতু তিনটি নির্মাণ কাজ শেষ হবে। তাতে মনে হয় চলতি বছরের নভেম্বর মাসেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু তিনটি উদ্বোধন করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ছয় মাস সময় আগে সেতু তিনটি নির্মাণ হওয়ার কারণে স্টিমেটেট কস্টের চেয়ে সাতশ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
এসময় মন্ত্রীর সাথে সেতুর প্রকল্প পরিচালক সাইদুল হক, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব:) মোহাম্মদ আলী সুমন, সেতু মন্ত্রণালয়ের গণসংযোগ কর্মকর্তা ওয়ালীদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুমসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার