বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের বনদস্যু ছোট্ট বাহিনীর হাতে অপহৃত ৩ জেলে মুক্তিপণ দিয়ে ৬দিন পর বাড়ী ফিরেছে।
অপহৃত জেলেদের মহাজন মঙ্গলবার রাতে ৭৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ পরিশোধের পর বুধবার সকালে তাদের ছেড়ে দেয় বনদস্যুরা।
জেলেরা হলেন, শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের হারুন বয়াতির ছেলে মিজান বয়াতি (২৪), রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে রহিম হাওলাদার (২২) ও রতন হাওলাদারের ছেলে ইসা হাওলাদার (১৮)।
এর আগে গত ২২ মার্চ বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কোকিলমণি খালে কাঁকড়া আহরণের সময় বনদস্যু ছোট্ট বাহিনী সদস্যরা মুক্তিপনের দাবীতে এই ৩ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহৃত জেলেদের মহাজন ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন খাঁন জানান, মঙ্গলবার রাতে দস্যুদের দেওয়া একটি বিকাশ নম্বরে তিন জেলের মুক্তিপণের ৭৫ হাজার টাকা পাঠানো হয়। টাকা পেয়ে বুধবার সকালে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসিদ্ধির চরে জেলেদের ছেড়ে দেয় বনদস্যুরা। পরে তারা অন্য জেলেদের সহায়তায় বিকালে বাড়ি ফিরে আসেন। জেলেদেরকে প্রচন্ড মারধর করা হয়েছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে মহাজন জাকির হোসেন আরো জানান, ছোট্ট বাহিনীর প্রধানের নাম সুমন। তার বাড়ি মোংলা উপজেলার জয়মণি এলাকায়। ওই বাহিনীর কাছে এখনো ২০ থেকে ২৫ জন জেলে-বাওয়ালী জিম্মি রয়েছে বলে ফিরে আসা জেলেরা জানিয়েছে। এসব জিম্মিদের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা, মোংলা ও সাতক্ষীরা জেলোর বিভিন্ন এলাকায়।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. হুমায়ুন কবির জানান, সুন্দরবনে স্মার্ট পেট্রোলিং এর মধ্যে ওই ৩ জেলে অপহণ করে নিয়ে যায় বনদস্যুরা। সুন্দরবন বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার অভিযান চালানো হলেও ওই ৩ জেলের কোনো সন্ধান আমরা তখন পাইনি।
বিডিপ্রতিদিন/ ই জাহান