নরসিংদীর শীলমান্দী ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সৈকত হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শীলমান্দী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ। রবিবার সকাল সাড়ে এগারটার দিকে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে নিহত সৈকত হত্যাকারীদের বিচার ও তার বন্ধু নিখোঁজ সুজন সরকারের সন্ধানের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নিহতের মা জোস্না বেগম, স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার নিশি, মামলার বাদী ও নিহতের বড় ভাই মোরশেদ আলম, বাগহাটা নূর আফতাব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজি নওশের রশিদ ও শীরমান্দী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নিহত সৈকত প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। দুস্কৃতিকারীরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। কিন্তু ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। প্রশাসনের নিশ্চুপ ভূমিকা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
নিহত যুবলীগ নেতা সৈকতের স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার নিশী শিশু সন্তান সাদকে নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। ওই সময় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামী ব্যবসা করতো। বিনা অপরাধে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। যারা আমার স্বামীকে হত্যা করছে আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
যুবলীগ নেতা সৈকতের মা জোস্না বেগম ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নিহত যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান সৈকত দক্ষিণ শীলমান্দি গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে। নিখোঁজ সুজন সরকার একই এলাকার বাসিন্দা।
বিডি প্রতিদিন/১ এপ্রিল ২০১৮/হিমেল