হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আলোচিত কিশোরী বিউটি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আটক বাবুলের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ বিকেলে হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আসমা বেগম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মানিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিকেলে শুনানী শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ইকবাল আহমেদ ভূইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ, গত ২১ জানুয়ারী একই গ্রামের দিনমুজুর কন্যা বিউটি আক্তারকে বাড়ি থেকে জোর করে অপহরন করে নিয়ে যায় বাবুল মিয়াসহ তার লোকজন। তাকে অপহরণ করে বিভিন্ন স্থানে রেখে ধর্ষণ করে লম্পট বাবুল। এ ঘটনার প্রায় ১ মাস পর পর বাবুল মিয়া কৌশলে বিউটিকে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পহেলা মার্চ বিউটি আক্তারের পিতা সায়েদ আলী বাদী হয়ে লম্পট বাবুল ও তার মা ব্রাহ্মনডোরা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কলমচানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। এর পর বাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে ১৬ মার্চ বিউটি আক্তারকে তার নানার বাড়ি উপজেলার গুনিপুর গ্রাম থেকে রাতের আঘাতে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে হত্যা করে লাশ হাওরে ফেলে দেয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে প্রচার হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিউটি হত্যাকান্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
এদিকে বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে পরদিন তার পিতা বাদী হয়ে হয়ে লম্পট বাবুল মিয়াসহ ২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে ২১ মার্চ পুলিশ লম্পট বাবুলের মা ইউপি সদস্য কলম চান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ঈসমাইল নামে এক যুবককে আটক করে।
এর ঘটনার পর ২৯ মার্চ হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসম শামছুর রহমান ভূইয়াকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেন পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা। ৩১ মার্চ বাবুলকে সিলেট থেকে র্যাব গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার