নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট করার সময়ে এক কিশোরী ও প্রতারককে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের জালকুড়িতে অবস্থিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে দুইজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আটককৃতরা হলো কিশোরী আছমা (১৮) ও মাঈনুদ্দিন আহমেদ (৫৫)। মাঈনুদ্দিন আহমেদ কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম সৈয়দপাড়া এলাকার মনির আহমেদের ছেলে।
সেই কিশোরী ও প্রতারকের ভাষ্য মতে পাসপোর্ট ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা কিশোরীটি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা। কারণ সে নিজেও এটা স্বীকার করেছে। তবে পুলিশ রোহিঙ্গার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি।
নারায়ণগঞ্জের জালকুড়িতে অবস্থিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক নুরুল হুদা জানান, দুপুরে পাসপোর্ট করার সময় আমাদের কর্মকর্তাদের কাছে আছমার নাম পরিচয় জানতে চাইলে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে। তখন সঙ্গে থাকা মাঈনুদ্দিন নামের ব্যক্তিও একেক সময় আছমার একেক ধরনের পরিচয় দেয়। পরে সে স্বীকার করে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আছমাকে নিয়ে এসে টাকার বিনিময়ে বাবা সেজে পাসপোর্ট করতে এসেছিল।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আজিজুল হক জানান, ‘আছমা তার পরিচয় কিছুই বলতে পারেনি। শুধু জানিয়েছে সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছিল। কিন্তু কোন ক্যাম্পে সেটা জানাতে পারেনি। বিষয়টি খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। আছমাকে বিদেশ পাঠাবে বলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে প্রথমে কুমিল্লা পরে পাসপোর্ট করার জন্য নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসা হয় জানিয়েছে জানিয়েছেন মাঈনুদ্দিন। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর