লক্ষ্মীপুরে ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দুই শতাধিক গাছপালাও উপড়ে গেছে। এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন এখন। শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে শনিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত মেঘনা উপকূলীয় এলাকার সদর উপজেলার চররমনী মোহন ও কমলনগর উপজেলার মতিরহাট ইউনিয়নে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের মাতাব্বর হাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কারো ঘরের চাল নেই, কারো ঘর ভেঙে পড়ে আছে, কারো ঘরের উপর গাছ পড়ে আছে। এসব মানুষ এখন অনেকটাই খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন, রান্নাবান্না করছেন কেউ কেউ।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড়ে ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে, ঘর ভেঙে পড়ার সময় শিশুদের নিয়ে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে কোনমতে প্রাণে বেঁচেছেন অনেকে। তবে তাদের অভিযোগ ঘটনার পর থেকে স্থানীয় প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যান কিংবা মেম্বাররাও তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। খেটে খাওয়া এসব মানুষের অনেকেই পুণরায় ঘর নির্মাণ করার সামর্থ নেই বলেও জানান।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনির হোসেন ও শ্রমিকলীগ নেতা শামছুল আরেফিন লিটন যৎসামান্য ত্রাণ নিয়ে হাজির হলেও প্রয়োজনের তুলনায় এটি কিছুই নয় বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
জানতে চাইলে চররমনী মোহন ইউপি চেয়ারম্যান ইউছুপ সৈয়াল বলেন, আমার এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠান উপভোগ করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ খবর নিতে দেরি হয়েছে। তালিকা তৈরির কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, সদর ও কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণসহ সকল ধরণের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/১২ মে, ২০১৮/মাহবুব