মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার পাথরঘাটায় জাহাঙ্গীর (৩৬) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুত্র। রবিবার দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে উপজেলার পাথরঘাটা পিয়ারা বাগান নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহত জাহাঙ্গীর উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের উত্তর পাথরঘাটা গ্রামের মো. সিরাজ মিয়ার পুত্র।
আহতের বড় ভাই মো. স্বপন জানান, পাথরঘাটা পূর্ব রামকৃষ্ণদী মাঝামাঝি রাস্তায় আমার ভাইয়ের খালি গাড়ি আটকে রুবেল, মামুন, সোহেল, সাদেক, বাবু ও সুজন মারধর করে ও শরীরের বিভিন্ন যায়গায় কোপায়। এছাড়া তারা গাড়ি ভাংচুর করে আমার ভাইয়ের হাত-পা ভেঙে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়।
আহতের পিতা সিরাজ মিয়া জানান, সাইফুল চেয়ারম্যান ও তার ছেলের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি বহুবার দিয়েছে। এর আগে তারা এলাকায় ঘোষণা দিয়েছে আমার ছেলের হাত পা কেটে দরকার হলে বিশ লাখ টাকা জরিমানা দিবে। আজকে সাইফুল চেয়রাম্যানের পরিষদে আমার নাতীনের বিয়ে সংক্রান্ত একটি বিচার ছিল। বিচারে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই টাকা তার কাছে জমা আছে। দেড় লক্ষ টাকা আত্মসাত করার জন্য সাইফুল চেয়ারম্যানের হুকুমেই তার ছেলে ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ছেলেকে জানে মেরে ফেলতে চেয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, সাইফুল চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসি বাহিনীর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ, এ কারণে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এ ব্যাপারে বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়রাম্যান সাইফুল ইসলাম যুবরাজ জানান, এই ঘটনার বিষয়ে আমি শুনেছি। সিরাজ মিয়ার নাতীনের একটা বিচার নিয়ে পরিষদে বসেছি এমন সময় ফোন আসলো যে, সিরাজ মিয়ার ছেলেকে কারা যেন মেরেছে। পরে সিরাজ মিয়াকে আমি বলেছি আগে আপনি আপনার ছেলেকে চিকিৎসা করান। তার ছেলের চিকিৎসার জন্য তাকে আমি ২০ হাজার টাকাও দিতে চেয়েছি। অথচ আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, আমি নাকি বিচারের দেড় লক্ষ টাকা মেরে দেওয়ার জন্য তার ছেলেকে আমার লোকজন দিয়ে মেরেছি।
সিরাদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) মো. আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আহতের স্বজনরা থানায় এসেছিল। তাদেরকে আগে চিকিৎসা নেওয়ার কথা বলেছি। পরে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল