বরিশালে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীসহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। বরিশাল জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহসিন উল হক আজ বুধবার এই দণ্ডাদেশ দেন।
দন্ডিতরা হল- নিহত গৃহবধূর স্বামী আলমগীর সরদার, লিটন গাজী, কামাল হাওলাদার ও রিপন সরদার। তাদের সকলের বাড়ি মুলাদী উপজেলার চরসাহেবপুর গ্রামে। দন্ডিতদের মধ্যে কামাল হাওলাদার পলাতক রয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, আলমগীর সরদার তার স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্বেও এসব তথ্য গোপন রেখে ঢাকায় শাহনাজ বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে মুলাদীর গ্রামের বাড়িতে আসার পর আলমগীর সরদারের প্রথম স্ত্রী ও সন্তান থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন শাহনাজ। এজন্য তিনি প্রতারণা করার অভিযোগে স্বামী আলমগীর সরদারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করার হুমকি দেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে অপর আসামিদের সহযোগীতায় আলমগীর সরদার ২০১১ সালের ২৮ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে শাহনাজকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয় আসামিরা। পরদিন সকালে গ্রামবাসী তার লাশ দেখতে পেলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মুলাদী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক উত্তম কুমার অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নুরুল ইসলাম ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর স্বামী আলমগীর সরদারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরে আদালতে ২৩ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদেরকে উল্লেখিত দন্ড দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
