নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক, সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার পথ হারিয়ে ফেলেছে। রাজনীতির নানান ঘটনা ও নির্বাচনের প্রস্তুতি আমাদের সে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন এক ভয়াবহ ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এ ঝড় অর্থনীতি, রাজনীতি, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুভূত হচ্ছে। ঝড় যখন আসে মানুষ তখন তার সবচেয়ে বড় সম্পদগুলো রক্ষার চেষ্টা করে।’ গতকাল রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ওয়াচ’ নামের একটি নতুন উদ্যোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বিশাল আকাঙ্ক্ষা ও জনসমর্থন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছিল। এক বছরের বেশি হয়েছে। এখন আকাঙ্ক্ষা কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে তার নির্মোহ খতিয়ান নেওয়া খুব জরুরি। পুরো বিষয়টাই যমুনার দেয়ালের মধ্যে আটকে গেছে।’
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন ও রাজনৈতিক অঙ্গন চরম দুর্বৃত্তদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এটা দলবাজদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে।’
সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় বৈষম্যের জায়গা হচ্ছে মজুরি, ভূমি অধিকার ও সম্পদ বণ্টনের বৈষম্য। যেগুলো নিয়ে কোনো বড় আলাপ নেই।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘একটি কথা প্রচলন হয়ে গেছে যে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটা চলছে, চলতে থাকবে। এটা স্টুপিড কথা। আরেকটা কথা বলতে শুনি যে রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। কিন্তু শেষ করতে হবে। কিছুই শেষ না হলে তাহলে দেশ কীভাবে এগোবে?’ ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ নতুন প্ল্যাটফর্মে সবার অংশগ্রহণ থাকবে। তাই আমরা দৃঢপ্রতিজ্ঞ, সংস্কারের যে সুযোগটি এসেছে এটাকে আমরা হারিয়ে যেতে দেব না। পেছনে পড়া মানুষকে নিয়ে আমরা এ প্ল্যাটফর্ম এগিয়ে নিয়ে যাব।’ সেলিম রায়হান বলেন, ‘সংস্কার যারা করবেন আসলে তারা কতটুকু অনুভব করছেন? সংস্কারবিরোধী শক্তিগুলো দীর্ঘদিন ধরে সরকারের মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার একটি উদাহরণ সৃষ্টি পারত। কিছু কিছু সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত ছিল। কিন্তু এত দিন পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি।’ মাহদী আমিন বলেন, ‘বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই সংস্কার নিয়ে কাজ করছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশে সংস্কারের পথচলা শুরু হয়।’