বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের বাঙ্গালী নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে জয়শিং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতি বছর বর্ষা ও বন্যায় ধীরে ধীরে ভাঙতে ভাঙতে নদীমুখে এসেছে।
চলতি বর্ষায় বৃষ্টিপাতের কারণে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে স্কুলের সীমানা ভেঙ্গে নদীর মধ্যে চলে যাচ্ছে। বারবার নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিদ্যালয়টির একপাশের সীমানা নদীতে বিলীন হতে শুরু হয়েছে। এই ভাঙ্গনের মুখেই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছে বিদ্যালয়ে।
স্কুলটি রক্ষার দাবিতে ছাত্র ও শিক্ষকবৃন্দরা দাবি জানিয়েছেন। জয়শিং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রক্ষা করতে মানববন্ধনও করেছে শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসুচী (পিইডিপি-২) এর আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জয়শিং সরকারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আনুভ‚মিক সম্প্রসারণ ভবন নির্মান করে। কিন্তু বিদ্যালয়টির পাশ দিয়েই বহমান বাঙ্গালী নদী। বারবার নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিদ্যালয়টির একপাশের সীমানা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান জানান, প্রতিষ্ঠানটির পাশ দিয়ে বাঙ্গালী নদী বয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা ও বন্যায় ভেঙ্গে পড়ছে প্রতিষ্ঠানের সীমানা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সীমানা ভেঙ্গে প্রতিষ্ঠানের অনেক কাছে চলে এসেছে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছে। তবে এখনই যদি ভাঙ্গন রোধ করা না হয় তাহলে এক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আল ইমরান, সহকারী শিক্ষক মেহেদী হাসান, রেজাউল করিম, রফিকুল ইসলাম, এনামুল বারী, রেহেনা পারভীন, আশরাফি আকতার রুপালী, সমাজ সেবক হামিদুল হক, মুরাদুজ্জামান, মিঠু মিয়া প্রমুখ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, বিদ্যালয়টির সীমানা ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। তবে বিদ্যালয়টির বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার