রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে অবিরাম সাঁতরিয়ে চলেছেন নেত্রকোনার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীর পুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ক্ষীতিন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য(৬৭)। তিনি বিশ্ব রেকর্ড গড়তে গত সোমবার সকাল পৌনে ৭টার সময় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদী ব্রিজ থেকে সাঁতার শুরু করেন। ভোগাই, কংস ও মগড়া নদীর ১৬৮ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে তিনি এখন নেত্রকোনা জেলার মগড়া নদীর আটপাড়া এলাকায়। বিকেল ৫টা থেকে ৬টায় দিকে মদন উপজেলার দেওয়ান ঘাটে পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
নালিতাবাড়ী পৌরসভা, মদন উপজেলা নাগরিক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র গত সোমবার সকাল পৌনে ৭টায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরশহরের ভোগাই সেতুর নিচ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার নদী সাঁতরানোর লক্ষে যাত্রা শুরু করেন। গত সোমবার রাতে বৃষ্টি থাকায় কিছুটা বিগ্ন হলেও তিনি অবিরাম সাঁতরিয়ে চলেছেন। তিনি সুস্থ্য আছেন, তবে কিছুটা দুর্বল হয়ে গেছেন বলে সঙ্গে থাকা তার ভাগ্নে বিমলচন্দ্র বৈশ্য জানিয়েছেন। তবে তিনি তার পছন্দের গানের তালে তালে সাঁতরিয়ে চলেছেন। নদীর দুই পাশে শত শত উৎসূক মানুষ তাকে করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। তার লক্ষ্য ভোগাই, কংশ ও মগড়া নদীর ১৮৫ কিলোমিটার সাঁতরিয়ে গিনেস বুকে নতুন রেকর্ড করা। আর এ কাজে তাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করতে দুটি নৌকা ও একটি স্পিট বোড। এ ছাড়া গিনেস বুকে পাঠানোর জন্য বিরতিহীনভাবে ভিডিওতে সাঁতার ধারণ করা হচ্ছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ডায়ানা নাঈদের ২০১৩ সালে কিউবা-ফ্লোরিডা ১৭৭ কিলোমিটার নদী সাঁতরানোর রেকর্ড গিনেস বুকে রয়েছে।
ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্যের বাড়ি নেত্রকোনার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যায় স্নাতোকত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী এই মুক্তিযোদ্ধা বেসামরিক বাহিনীর চলাচল কর্তৃপক্ষের এএনএস কনসালট্যান্ট হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কংস নদ সরচাপুর সেতুর কাছ থেকে ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য সাঁতার শুরু করেন। পরদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নেত্রকোনার বড়ওয়ারি সেতুর কাছে পৌঁছান। এতে ৪৩ ঘণ্টায় ১৪৬ কিলোমিটার তিনি সাঁতরান।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮/মাহবুব