টাঙ্গাইলের সখীপুরে আসাদুল ইসলাম নামে এক বখাটের উত্ত্যক্তে দশম শ্রেণির এক আদিবাসি স্কুল ছাত্রী ১৫ দিন ধরে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। উপজেলার ঘাটেশ্বরীর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত আসাদুল ইসলাম সেই এলাকার শবদুল মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ছাত্রীর মা থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে রবিবার বখাটে আসাদুল ইসলাম নামের এক যুবকের বিরোদ্ধে সখীপুর থানায় মামলা হয়েছে। সেই স্কুল ছাত্রী বলেন, আমি লেখা-পড়া করবো। সবার মতো করে স্কুলে যাওয়ার পরিবেশ চাই।
পুলিশ জানায়, বহেড়াতৈল গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে আসাদুল ইসলাম নামের এক যুবক উত্ত্যক্ত করে। একা পেয়ে নানা ধরনে কু-প্রস্তাব দিত। সে রাজি না হওয়ায় ফেসবুকে প্রেমিকা হিসেবে অখ্যা দিয়ে অশ্লীল ছবি পোষ্ট করে নানা রকম ভয় দেখাতো সেই বখাটে। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হওয়ায় আদিবাসী মেয়েটি স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাদেকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তার বাবা মা আমাকে জানিয়েছেন আমি ছেলেটাকে শাসন করার চেষ্ট করেছি। ছাত্রীর পরিবার এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছে।
ছাত্রীর মা মিনতী রানী বলেন, আমরা আদিবাসী এবং গরীব তাই এর উপযুক্ত বিচার পেতে থানায় মামলা করেছি। ছেলেটি নেশা খোর তাই ভয়ে মেয়েকে স্কুলে পাঠাইনা।
সখীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম রাব্বানী বলেন, এঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বখাটেকে আটক করতে চেষ্টা চলছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম তুহিন আলি সাংবাদিকের প্রশ্নে বখাটেকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছেনা এ প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর