রাঙামাটি সদর সেনা জোনের তত্ত্বাবধানে কাউখালী-চেলাছড়া-ঘাগড়া সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। গত বছর ও চলতি বছর পাহাড় ধসের সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দে ভরে যায়। আবার অনেক সড়কের দু’পাশ ভেঙে মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়। ফলে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে ঘাগড়া ইউনিয়নের কাউখালী-চেলাছড়া-ঘাগড়া বাজার ৭ কিলোমিটার সড়ক। তবুও জীবন যেন থেমে নেয়। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছিল হালকা ও ছোট যানবাহন। দুর্ভোগ বেড়ে যায় সাধারণ ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। কিন্তু তবুও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তবে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ২৪ এর ’সংস্কার হয়নি পাহাড় ধসে বিধ্বস্ত সড়ক’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচার হওয়ার পর এ বিষয়টি নজরে আসে বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। এরপর রাঙামাটি সদর সেনা জোনের তত্ত্বাবধানে শুরু করা হয় সড়ক সংস্কার কাজ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বৃষ্টিপাত না হওয়ার ফলে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের বিপর্যয় কাটলেও, ঝুঁকিমুক্ত হয়নি বিভিন্ন সড়ক। তীব্র বৃষ্টিপাত, ভূমিধস ও পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকার কারণে ঘাগড়া ইউনিয়নের কাউখালী-চেলাছড়া-ঘাগড়া বাজার ৭ কিলোমিটার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। সড়কের প্লাস্টার, ইট কংক্রির উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। আবার কোথাও ভেঙে পড়েছে সড়কের বিরাট অংশ। আকাঁ-বাকাঁ পাহাড়ি সড়কগুলো এমনিতে বিপদজনক। তার উপর সড়কে সড়কে ভাঙা-গর্ত, জমে থাকতো বৃষ্টির পানিও। তাতেই প্রায় প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা। তাই এ সড়কে মানুষ ছিল শুধু আটোরিকশা অর্থাৎ সিএনজি নির্ভরশীল। কারণ ভাঙা সড়কে চলাচল করতো না কোনো ভাড়ী যানবাহন। এতে দুর্ভোগ বেড়ে যায় কৃষক ও শিক্ষার্থীদের।
এব্যাপারে রাঙামাটি সদর সেনা জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. রেদুওয়ান ইসলাম জানান, রাঙামাটি ঘাগড়া ইউনিয়নের কাউখালী-চেলাছড়া-ঘাগড়া সড়কটি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখছিল। বিশেষ করে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সংযোগ হিসেবে ব্যবহার হতো এ সড়কটি। কিন্তু পাহাড় ধসের কারণে সড়কটির বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়। তাই স্থানীয় জনগণ এবং শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে রাঙামাটি সদর জোনের তত্ত্বাবধানে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ওই সড়ক মেরামত এবং সংস্কারের প্রকল্পটি হাতে নেয়।
তিনি আরও বলেন, সংযোগ সড়কটি মেরামত সম্পন্ন হলে স্থানীয় জনগণ এবং শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে চলাচলের পাশাপাশি সিএনজি, পিকআপ ভ্যান, জিপ এবং চাঁদের গাড়িসহ মাঝারি যানবাহন চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠবে। যার ফলে ঘাগড়া ইউনিয়নের অধীনস্থ বিভিন্ন পাড়াসমূহের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নততর হওয়ার পাশাপাশি এলাকার জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম