১১ দফা দাবিতে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে দুপুরে কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা মেনে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ বহাল, জামায়াত-শিবির, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান ও তাদের উত্তরসূরীদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ এবংতাদের মধ্যে যারা চাকরিতে বহাল আছে তাদেরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত, যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াত-শিবির পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তসহ ১১ দফা দাবিতে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে সরকারি চাকুরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করা, রাজাকারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র হত্যার গুজব ছড়িয়ে যারা উস্কানি দিয়েছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নি সংযোগ ও ভাঙচুর করেছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির দাবিও জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহ, ডেপুটি কমান্ডার বাশিরউদ্দিন ফারুকী, দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলা কমান্ডার ভূপাল নন্দী, কুলিয়ারচর উপজেলা কমান্ডার জিল্লুর রহমান, পাকুন্দিয়া উপজেলা কমান্ডার মেজবাহ উদ্দিন, কটিয়াদী উপজেলা কমান্ডার মো. ইসরাইল, জেলা সংসদের কার্যকরী সদস্য এ.বি. সিদ্দিক, হাবিবুল আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক এনামুল হক সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন