কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযানে সাড়ে ১২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আছাদুদ-জামান-চৌধুরী জানান, বুধবার ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউপিস্থ দমদমিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বে কেওড়া বাগানে ইয়াবা লুকায়িত থাকতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপিতে কর্মরত নায়েক মাহাবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করে কেওড়া বাগান এবং এর আশেপার্শ্বের এলাকায় তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। টহলদল কেওড়া বাগানের একপার্শ্বে সামান্য পরিমান জায়গায় কর্দমাক্ত মাটি খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পায়। এমতাবস্থায় সন্দেহ হওয়ায় উক্ত স্থানের সামান্য মাটি খোঁড়ার পর পলিথিন দ্বারা মোড়ানো একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগ দেখতে পায়। পরে উক্ত ব্যাগটি মাটির নীচ হতে বের করে খুলে গণনা করে ৩০ লাখ টাকা মূল্যমানের ১০ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
এছাড়া অপরদিকে উক্ত অভিযান শেষে সকাল ৬ টায় জাদিমোড়া মসজিদের সামনে একজন লোককে দেখতে পেয়ে সন্দেহ হওয়ায় চ্যালেঞ্জ করে। এমতাবস্থায় লোকটি দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ২ হাজার ৪শ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট গলাধকরণ করেছে বলে স্বীকার করে। পরে তার স্বীকারক্তি অনুযায়ী তার পাকস্থলী হতে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যমানের ২ হাজার ৪শ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তি হচ্ছেন, মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া হোসেনদী এলাকার মৃত ফজর আলী বেপারীর ছেলে মোঃ শহিদুল্লাহ (৬৫)। নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ দখলে রাখার অপরাধে ধৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও আসামি বিহীন জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে, যা পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ