ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ২নং রামভদ্রপুর ইউনিয়নের চরবাহাদুরপুর গ্রামে যৌতুকের প্রতিবাদ করার কারণে রোকনুজ্জামান রোকনকে (১৮) খুন করার অভিযোগ উঠেছে চাচাতো ভাই রিপনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আলী হোসেন (৫০) ও নিয়াজ উদ্দিন (৫৫) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত রোকন চরবাহাদুরপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, রোকন আলীর চাচাতো বোন খোদেজাকে বছরখানেক আগে চাচাতো ভাই রিপনের কাছে বিয়ে দেয়া হয়। রিপন খোদেজাকে নিয়ে ঢাকায় থাকতো। বিয়ের পর থেকেই রিপন খোদেজাকে যৌতুকের জন্য নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছিল। সম্প্রতি খোদেজা ৫ মাসের গর্ভবতী অবস্থায় ঢাকা থেকে বাড়ি এসে পেটের বাচ্চা ফেলে দেয়া ও যৌতুক দেয়ার জন্য মারধর করার বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়।
এ নিয়ে রিপনের সাথে উভয়ের তুমুল ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে রিপনের নেতৃত্বে ইয়াজ উদ্দিন (৪৫), হেলাল (৩৫) এবং রাসেল খোদেজা ও তার বাবা নিয়াজ উদ্দিনকে মারধর করে। পরে তাদের চিৎকারে রোকন ও তার পিতা আলী হোসেন ঘুম থেকে ওঠে দৌঁড়ে গেলে তাদেরকেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এই ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত ভোর রাত ৫টার দিকে রোকন মারা যায়। এ ঘটনায় রোকনের পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছেলে রোকনের মৃত্যুর খবরে মা রোকেয়া (৫০) বার বার মূর্ছে যাচ্ছিলেন। আর হা-হুতাশ করে বলছিলেন, আমার রোকনকে এরা কুবাইয়া মারছে। আমি এর বিচার চাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলপুর থানার ওসি মুহাম্মদ বদরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন