সিদ্ধিরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে সালিশি বৈঠক থেকে ধর্ষককে জিম্মায় নিয়ে যায় তার ভগ্নিপতি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। গত ২৯ জানুয়ারি রবিবার মিজমিজি পূর্বপাড়া ক্যানেলপাড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত সিফাতকে (২২) গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৬) সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার আমতলার জনৈক আব্দুস সামাদের ছেলে সিফাত (২২) স্কুলে যাওয়া-আসা করার সময় প্রেমের প্রস্তাব দিত। এক পর্যায়ে সিফাত গত ২৭ জানুয়ারি রবিবার মিজমিজি পূর্বপাড়া ক্যানেলপাড় এলাকায় তাদের নির্মাণাধীন ভবন নিয়ে যায়। সেখানে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় আশপাশের লোকজন টের পেয়ে তাদেরকে আটক করে উভয় পক্ষের স্বজনদের খবর দেয়। খবর পেয়ে সিফাতের স্বজন গোলাপ হোসেন, মাসুম, অভিযুক্তের মা সেলিনাসহ উভয় পক্ষের স্বজনরা উপস্থিত হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার এ ব্যাপারে মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষ বৈঠকে বসে। পরবর্তীতে ২ ফেব্রুয়ারি এ ব্যাপারে উভয় পক্ষের মধ্যে সালিশ বৈঠক বসলে সিফাতের ভগ্নিপতি ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহির মুচলেক দিয়ে সিফাতকে তার জিম্মায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা সিফাত, গোলাপ হোসেন, হোসেন, মাসুম ও অভিযুক্তে মা সেলিনাকে আসামি করে ৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে মামলা দায়ের করে। পুলিশ মঙ্গলবার দিনভর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে অভিযান চালায়। তবে মামলার ব্যাপারটি টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়।
ইতোপূর্বে সিফাত তার ভগ্নিপতি স্বেচ্চাসেবক লীগ নেতা জহিরের শিমরাইলের বালুর গদিতে চাকরি করতো। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মীর শাহিন শাহ পারভেজ জানান, এ বিষয়ে ধর্ষণ মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত সিফাতসহ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার