ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের লংকারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণ হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই ছাত্রীর বাড়ি লংকারচর গ্রামে। ধর্ষণের পর থেকে ধর্ষক পলাতক রয়েছে।
ঘোষপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর অপু রানী বিশ্বাস সহ একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, গত সোমবার রাত ৮টার দিকে লংকারচর গ্রামের আনন্দ বিশ্বাস পেশায় কামার (৬০) প্রতিবেশি তার নাতনী (৬) স্কুল ছাত্রীকে আম ও টাকা দেয়ার কথা বলে বাড়ির পাশে আম বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে।
আনন্দর ৪ মেয়ে ১ ছেলে। ওই ছাত্রী আনন্দ বিশ্বাসের সম্পর্কে নাতনী হয়। পরে অচেতন অবস্থায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে ফেলে রেখে যায় আনন্দ। ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিক তাকে গোহাইল বাড়ি বাজারের গ্রাম্য চিকিৎসক পলাশের কাছে নিয়ে যায়। পলাশ তাকে সাময়িক চিকিৎসা দেয়। ওই ছাত্রীর অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সাতৈর বাজারে পল্লী চিকিৎসক শারমিন ইসলাম শেফার কাছে নিয়ে আসে। সেখানে তার চিকিৎসা দেওয়া হয়।
শারমিন ইসলাম শেফা বলেন, আমার কাছে যখন ওই ছাত্রীকে আনা হয় তখন তার অবস্থা তেমন ভাল ছিল না। প্রচন্ড রক্ত ক্ষরণ হচ্ছিল। আমি চিকিৎসা দেওয়ার পরে কিছুটা ভাল হয়েছিল। বুধবার বেলা ১২টার দিকে আমার কাছে আবার আনার কথা ছিল কিন্তু আসে নাই।
ঘোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মো. ফারুক হোসেন বলেন, ধর্ষণের ঘটনাটি সত্য। ঘটনা ঘটনার পর থেকে আনন্দ বিশ্বাস পলাতক রয়েছে।
বোয়ালমারী থানার ওসি তদন্ত ও ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমকে থানায় আনা হয়েছে। ধর্ষণ মামলার প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষককে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন