উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসন বিকালে প্রস্তুতি সভা করেছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় বাগেরহাট জেলার ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখাসহ জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলার প্রতিটিতে একটি করে কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০টি মেডিকেল টিম। সকল সরকারী কর্মকতা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার কয়েক শত স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার দূরুল হুদা জানান, মোংলা বন্দরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় সর্বত্বক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। বন্দর জেটি ও আউটার এ্যাংকরেজে অবস্থানরত ১৫ জাহাজ নিরাপদে রয়েছে। ঘর্ণিঝড়ের সংকেত ৫ নম্বরে উঠলেই বন্দরের পনবোঝাই ও খালাসের কাজ বন্ধ বন্ধ করে দেয়া হবে। জাহাজগুলোকে জেটি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দেয়া হবে।
সুন্দরবনে পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী’র আগাম পস্তুতি হিসেবে সুন্দরবন বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে তাদের আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ নিরাপদে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, সুন্দরবনের করমজল ও হারবাড়ীয়া পর্যটন কেন্দ্রের পর্যটকদের সরিয়ে আনা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন