উপকূলীয় সূর্বণচর, হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ ও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট কয়েক মিনিটির টর্নেডোর আঘাতে সুবর্ণচর উপজেলার চর আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নে বসত ঘরের চাপা পড়ে ইসমাইল হোসেন নামের দু'বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়াও চর ওয়াপদা ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখানে প্রায় দু’শতাধিক কাঁচা ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত হয়েছে অনন্ত ৩০ জন।
এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর কাঁকড়া ইউনিয়নে চর্তুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ফাহিমা আক্তার ঝুমুর গাছ চাপায় নিহত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহম্মেদ।
বিভিন্ন স্থানে অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ আহত ও ৩ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ফণী প্রভাবে এ আঘাত হানে।
নিহত ইসমাইল সুবর্ণচরের চর আমানউল্যা ইউপির আব্দুর রহমানের ছেলে। আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের মধ্যে অনেককে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালর ও সূবর্ণচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে দুপুরে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী সদর ও সূবর্ণচর এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ঘরবাড়ি নির্মাণসহ সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দেন এবং দলীয় নেতা কর্মীদেরকে সঠিক তালিকা করার নিদের্শ দেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম সরদার ও সুর্বণচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু ওয়াদুদ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং সার্বিক সহয়তার আশ্বাস দেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ