লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত গৃহবধূ মাহিমা বেগমকে (৪৫) পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে শনিবার দুপুরে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে বুড়িমারী উফারমারা গুড়িয়াটারী এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
এদিকে গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেছেন বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদ। তাঁর দাবি,‘অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রামবাসীরাই ওই মহিলার উপড় চড়ও হয়েছিল। ফলে একজন ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে বিক্ষুদ্ধ জনতার হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছে’।
এনিয়ে বুড়িমারী উফারমারা গুড়িয়াটারী এলাকার শামসুল হকের স্ত্রী মাহিমা বেগম থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, বেশ কিছুদিন আগে জমি সংক্রান্ত একটি বিচার দিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান নিশাদকে। কিন্তু চেয়ারম্যান উল্টো তার প্রতিপক্ষের পক্ষ নিয়ে বিচারের নামে প্রহসন করে আসছিলেন। ফলে এ ঘটনায় মাহিমা বেগম ও তার স্বামী শামসুল হকের সাথে চেয়ারম্যানের বাকবিতণ্ডা হয়। আর সেকারণেই মহিমা বেগমের পরিবারকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় ইউপি চেয়ারম্যান নিশাদ।
এরই জের ধরে গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে চেয়ারম্যান নিশাদের নেতৃত্বে স্থানীয় রফিকুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান ও রুবেলসহ তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মাহিমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে। এতে করে মহিমা বেগম শরীরের বিভিন্ন স্থানসহ মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান। পরে স্থানীয়রা আহত মহিমা বেগমকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পাটগ্রাম থানার ওসি মনসুর আলী সরকার বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহিমা বেগম চেয়ারম্যান নিশাতসহ ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দিয়েছেন। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল