আকাশে গনগনে সূর্য্য। কাঠফাটা রোদ্দুর। তপ্ত বাতাস। ছায়াশূন্য পথে তৃষ্ণার্ত প্রকৃতি। পাহাড়ে এ যেন গ্রীষ্মের চির চেনা রূপ। তার মধ্যে প্রকৃতি সেজেছে নবরূপে। হরেক রঙের ফুলে সৌরভ ছড়াচ্ছে আঁকাবাঁকা পাহাড়ের পথ-প্রান্তর।
বন-জঙ্গল জুড়ে বসেছে টুকটুকে লাল, হলুদ, গোলাপি, সাদা ও বেগুনিসহ হরেক রঙের ফুলের মেলা। রঙ ছড়িয়েছে নানা বর্ণময়। এ যেন ফুলের রঙে সেজেছে পাহাড়। সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে চোখ ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়ায়। এ রক্তিম ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধতায় পাহাড়ের মানুষ।
জানা গেছে, পাহাড়ের রয়েছে অপার সৌন্দয্যের ভান্ডার। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে গ্রীষ্মের হরেক রঙের ফুল। এসব রঙিন ফুলের বৈচিত্রতা আকর্ষণীয় করে তুলেছে রাঙামাটিকে। এমনিতেই পাহাড়ে প্রায় সব মৌসুমে ফুলের দেখা মিলেও, গ্রীষ্মের চিত্রটা একটু ভিন্ন। খরতাপের মধ্যে প্রকৃতির এরূপ শান্তির পরশ বুলিয়ে গ্রীষ্মের ফুল। বিশেষ করে কৃষ্ণচূড়া রুক্ষতা ছাপিয়ে প্রকৃতিতে নিজেকে মেলে ধরে। তাছাড়া স্বর্ণাভ হলুদ সোনাইল বা বান্দরের লাঠি, জারুল, রাধাচূড়া, কুরচি, গুস্তাভিয়া, কাঠগোলাপ, ডুঁলিচাপা, উদয়পদ্ম, পাদাউক, মধুমঞ্জুরী, পেল্টোফোরাম, কমব্রেটাম, পালাম বা পালান, লাল বা গোলাপি সোনালু, নাগেশ্বর, হিজল, লাল ঝুমকো লতা, জ্যাকারান্ডা রয়েছেই। এসব ফুলগুলোর চোখ ধাঁধানো রূপ দেখেই বোঝা যায় পাহাড়ে গ্রীষ্মের প্রকৃতি জেঁকে বসেছে।
রাঙামাটির প্রায় প্রতিটি সড়কে এসব ফুলের দেখা মিলছে। বিশেষ করে শহরের ফিসারি বাঁধ, রাজবন বিহার, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জাদুঘর এলাকা, সদর উপজেলা সড়ক, সুখীনীলগঞ্জ, কাপ্তাই-আসামবস্তী, ডিসি বাংলো এলাকায় বাহারি রঙের ফুলে বৈচিত্র্যময়তা সৌভা পাচ্ছে। এফুল দেখে শুধু স্থানীয়দের নয়, আকৃষ্ট করেছে দূর-দূরান্তের ভ্রমনপিপাসু পর্যটকদেরও।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলছেন, পাহাড়ে এ রূপ ছড়ানো ফুলের গাছগুলো সংরক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থ গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ যাতে এসব গাছের ক্ষতি করতে না পারে সে বিষয়েও নজড়দাঁড়ি রয়েছে প্রশাসনের। এসব গাছ বাচঁলে বাঁচবে প্রকৃতি। স্থানীয়রাও যেমন প্রশান্তি পাবে, তেমনি পর্যটকরাও মুগ্ধ হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার