হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ ভোগ্যপণ্য।
জেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করলেও জরিমানার পরিমান অত্যন্ত কম এবং জোরদার মনিটরিং না থাকায় এসকল পণ্য বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না বলে মনে করছে সচেতন মহল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে ৫২টি পণ্যের বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে নেত্রকোনার ১০টি উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে বিভিন্ন দোকানে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে এসব ভোগ্যপণ্য।
জনসাধারণের মাঝে ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা তৈরি না হওয়ায় এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তেমন কোনও হস্তক্ষেপ না থাকায় বিক্রেতারা খুব সহজেই বিক্রি করছেন এসব পণ্য।
নাম প্রকামে অনিচ্ছুক নেত্রকোনার দুর্গাপুর বাজারের এক মুদি দোকানি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ব্যাংকের ঋণ নিয়ে দোকানে মাল তোলার পর আদালত ৫২টি পণ্য নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু কোম্পানিগুলো তাদের দেওয়া মাল এখনও ফেরত না নেওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। তাই লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে ওই পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, ভেজাল পণ্য বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে বাজারে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে। নিষদ্ধ পণ্য খুব দ্রুতই একেবারে উৎখাত করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম