নেত্রকোনায় কাজের মেয়াদ শেষ হলেও ব্রিজের কাজ শেষ হয়নি এখনো। নেই বিকল্প সড়কও। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। ঈদের সময় আরো বেশি দুর্ভোগ বাড়বে বলে আশঙ্কা ভুক্তভোগীদের।
এলজিইডির আওতায় নেত্রকোনা কলমাকান্দা সড়কের সিধলী বাজারের সন্নিকটে রাজাপুর ব্রিজের কাজটি শুরু হয় ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টম্বরে। শেষ হওয়ার কথা ছিলো ২০১৮ সালের ১৬ জুন। কিন্তু প্রায় এক বছর পার হলেও এখনো অর্ধেক কাজই সম্পন্ন করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। এতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন নেত্রকোনা কলমাকান্দা ও নেত্রকোনা দূর্গাপুরের লক্ষাধিক মানুষ।
এই দুটি উপজেলার প্রধান সড়কেরও বেহাল দশা। ব্রিজ নির্মাণ সময়ে বিকল্প সড়ক না থাকা এবং কর্তৃপক্ষের নজরদারী না থাকায় ঠিকাদারের গাফিলতির খেসারত দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণের।
নেত্রকোনা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যায়ে ২০১৬ সালের ৫ মে রাজাপুর সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার এবং প্রস্থ ৫ দশমিক ২৫ মিটার। মেসার্স রিজভী কনস্ট্রাকশন নামে ময়মনসিংহের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টম্বর থেকে সেতুর কাজ শুরু করে, শেষ করার কথা ছিল ২০১৮ সালের ১৬ জুনে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিজভী কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী হোসাইন আহম্মেদ ওরফে পান্না বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, একজন ইঞ্জিনিয়ার সর্বোচ্চ পড়াশোনা করে চাকুরি পায়। কিন্তু এরা এতোটা অথর্ব যে বলার ভাষা আমার নেই। প্রথমেই একটা ব্রিজ করলে জরুরি প্রয়োজন ডাইভার্সন পথ রাখা। কিন্তু তা রাখা হয়নি।
তিনি এলজিইডির প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, মানুষকে ইঞ্জিনিয়াররাই ভোগায়। আমার কথা রেকর্ড করে আপনারা এদের ব্যাপরাটা লিখেন। আমি থুথু দেই এদেরকে।
নেত্রকোনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান সময় পার হবার কথা স্বীকার করে বলেন, আমিও জেনেছি কাজটিতে বিকল্প সড়ক নেই। এটি থাকলে এই ভোগান্তি হতো না। তবে ছাদ ঢালাই হয়ে গেছে। ঠিকাদারকে অনুরোধ করেই কাজের গতি বাড়ানো হয়েছে। আগামী একমাসের মধ্যে চলাচলের উপযোগী হবে বলেও তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল