একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের মামলায় বরিশালে জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান গত সপ্তাহের শেষ দিকে সংশ্লিষ্ট আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি ভবন, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, কেপিআই, যানবাহন, যন্ত্রপাতি, কলকব্জা, শিল্প প্রতিষ্ঠান, রাজপথ, সেতু, কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর নগরীর নবগ্রাম রোডের বরিশাল মডেল মহিলা মাদ্রাসায় গোপন বৈঠক চলাকালে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে জামায়াতের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। পরদিন ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মামলার প্রধান আসামি বরিশাল জেলা জামায়াতের আমীর ও মহিলা মডেল মাদ্রাসার পরিচালক আবুল হাসানাত মো. নুরুল্লাহ মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বাকি নয় আসামি হলো ঢাকার নিউ এলিফ্যান্ট রোড মসজিদ মিশন এনজিও’র সেক্রেটারি খলিলুর রহমান তরফদার, ভোলা জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ফজলুল করীম, ঝালকাঠী জেলা জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, পটুয়াখালী জেলার সাবেক আমীর ফকরুদ্দিন খান, পিরোজপুরের ভান্ডরিয়া উপজেলার সাবেক আমীর মাওলানা আব্দুল গনি, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সাবেক আমীর মাওলানা কামরুল ইসলাম খান, ঝালকাঠী পৌর আমির মাওলানা আব্দুল হাই এবং জামায়াত কর্মী কেরামত আলী ও মাহবুব আলম প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক