ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে কালো বাজারে পাচার করার সময় ভিজিএফ'র ৬ হাজার কেজি চাল জব্দ করেছে পুলিশ। এসময় তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
শুক্রবার রাত ৮ টার সময় নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের নুরপুর সড়ক বাজার এলাকা থেকে এ বিপুল পরিমাণ চাল জব্দ করা হয়।
এসময় ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের চাচা আলাল উদ্দিন, ট্রাক ড্রাইভার মিজান মিয়া ও মাসুক মিয়াকে আটক করা হয়। আলাল (৪৫) গোকর্ণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বরজু মিয়ার ছেলে। মিজান (৪২) একই ইউনিয়নের পাঠানিশা গ্রামের জোরবাজ খার ছেলে। মাসুক মিয়া নুরপুর গ্রামের বলে জানা যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত আটটার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ (ঢাকা মেট্রো-ড ১৪-৬৭২২) একটি ট্রাক ভর্তি ৬ হাজার কেজি চাল জব্দ করে।
ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা সামিউল আলিম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ছোয়াব আহমেদ হৃতুলের নামে ভিজিএফ’র ২৬ হাজার দুইশ পঞ্চাশ কেজি (প্রায় ২৬.২৫০ টন চাল) চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তরের সিল যুক্ত কোনো বস্তা পাওয়া যায়নি। চাল বিতরণে কি অনিয়ম হয়েছে সে বিষয়ে ট্যাগ অফিসারসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলতে পারবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল কবির ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম জানান, চাল বিতরণে কি অনিয়ম হয়েছে এখনো কিছু জানতে পারিনি। গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান ছোয়াব আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
গোকর্ণ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য (৮ নং ওয়ার্ড) আলী জাহান মেম্বার বলেন, আমি ৯০ টি নাম দিয়েছি হত-দরিদ্রদের। কিন্তু তারা চাল পেয়ে অভিযোগ করে বলেন ১৫ কেজির স্থলে ৭/৮ কেজি করে চাল পেয়েছে। ৭ জুন রাতে চোরাই পথে পাচারের সময় আটককৃত ট্রাক ড্রাইভার ও চেয়ারম্যানের চাচা আলাল উদ্দিন বলেন এটি ভিজিএফের চাল। তবে আমরা এ চাল উপকার ভোগীদের কাছ থেকে কিনেছি।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান বলেন, আমরা ট্রাক ভর্তি ১৪৯ বস্তা (প্রায় ৬হাজার কেজি) চালসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অতিরিক্ত দায়িত্ব মো. শামীম আহমেদ বলেন, ভিজিএফ'র চাল চেয়ারম্যানদের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের দায়িত্ব। পরে চাল বিতরণে অনিয়ম হলে সেটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন