মানিকগঞ্জের একটি মামলার ভুয়া রায়, আদেশনামা, আরজি, সোলেনামা, স্বাক্ষর জাল ও নকল সিল তৈরি করার অভিযোগে আইনজীবী আব্দুল করিম ও সহকারী মো. মহিদুল ইসলামকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
মানিকগঞ্জ সদরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদ বুধবার বিকালে এই রায় প্রদান করেন। মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতের নকলকারক কাজী গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে ওই দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে দু'দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত আইনজীবীর সহকারী মো. মহিদুল ইসলামকে এক দিনের রিমান্ড ও আইনজীবী আব্দুল করিমকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে।
মামলার বিবরণ অনুসারে, মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতের নকলকারক কাজী গিয়াস উদ্দিন মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের পাশে আব্দুল্লাহ ফটোকপির দোকানে দাপ্তারিক কাজে ফটোকপি করতে যান। এসময় বারেক নামে একজন বেশ কিছু কাগজপত্র ফটোকপি করছিলেন। ওই কাগজে বিচারকের স্বাক্ষর জালের বিষয়টি নিশ্চিত হন মামলার বাদী। বারেক জিজ্ঞাসবাদে জানান, ওই কাগজপত্রগুলো অ্যাডভোকেট আব্দুল করিম ও আইনজীবীর সহকারী মো. মহিদুল ইসলাম তাকে ফটোকপি করার জন্য দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতেই মানিকগঞ্জ সদর থানায় এ ব্যাপারের মামলা দায়ের করা হয়।
মানিকগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো জানান, জাল-জালিয়াতি করে কাগজপত্র তৈরি করা একটি জঘন্যতম অপরাধ। এটি আইনজীবীদের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতের নকলকারক কাজী গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের করেন। বুধবার সকালে আসামি অ্যাডভোকেট আব্দুল করিম ও আইনজীবীর সহকারী মো. মহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে দুই দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
মানিকগঞ্জ সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদ আইনজীবী আব্দুল করিমকে জেলগেটে জিঞ্জাসাবাদের জন্য অনুমতি ও আইনজীবীর সহকারী মো. মহিদুল ইসলামকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার