জাতীয় ৪৮তম গ্রীষ্মকালীন বালিকা কাবাডি খেলায় পরাজিত হয়ে বিজয়ী বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিজয়ী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়সহ অন্তত ১২জন আহত হয়েছেন।
বুধবার বিকেলে দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেবিদ্বার মফিজ উদ্দিন আহমেদ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে দেবিদ্বার আজগর আলী মুন্সী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বালিকা কাবাডি প্রতিযোগিতা ছিল। প্রতিযোগিতায় দেবিদ্বার মফিজ উদ্দিন আহমেদ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বিজয়ী হয়।
খেলা শেষে বিজয়ী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়রা খেলার মাঠ ছেড়ে ফেরার পথে তাদের ওপর পরাজিত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপে করে। এ সময় দেবিদ্বার মফিজ উদ্দিন আহমেদ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের রেফারি মো. ময়নাল হোসেন, শিক্ষার্থী নাফিজা নূর স্বর্ণালী, মৌমিতা আক্তার, নাঈমা সুলতানা, তানজিনা আক্তার, মুন্নী আক্তার, তিথি, কাজল রেখাসহ অন্তত ১২ জন আহত হন।
পরে আহতদের দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। হামলা চলাকালে আহত এবং হামলাকারীদের চিৎকারে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
দেবিদ্বার মফিজ উদ্দিন আহমেদ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান জানান, মফিজ উদ্দিন আহমেদ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আজগর আলী মুন্সী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ হামলা চালায়।
সন্ধ্যায় আজগর আলী মুন্সী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলী আকবরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার বিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের বাউন্ডারির ভেতরে ছিল, ওরা হামলা করেনি।
এদিকে সন্ধ্যায় দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী জয়নুল আবেদীন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবীন্দ্র চাকমা হাসপাতালে এসে আহতদের চিকিৎসা বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবীন্দ্র চাকমা জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন