এক সময় মানুষের বাড়ি বাড়ি চাল চেয়ে বেড়ানো অসহায় ৭ জন ভিক্ষুক আর ভিক্ষে করবে না। হ্যাঁ, এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঠাকুরগাওঁয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৭ জন ভিক্ষুক। আর তাদের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে পাশে দাঁড়ালো ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক'র উদ্যোগে উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর।
আজ ঠাকুরগাওঁয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৬ জন ভিক্ষুককে মুদির দোকান ও ১ জনকে ৫টি ছাগল দিয়ে পুনর্বাসন কর্মসূচির সূচনা করা হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড.একে এম কামরুজ্জামান সেলিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কুতুবুর আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহাগ চন্দ্র সাহা, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান জমিরুল ইসলামসহ ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
৭ জন ভিক্ষুককে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের উদ্যোগ আর আর্থিক সহযোগিতায় সমাজ সেবার ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায়, ঠাকুরগাঁও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১ দিনের বেতন দিয়ে সরকারি জায়গায় মুদির দোকান ধরিয়ে দেন এবং ছাগল দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে তাদের বিদায় নেয়ালেন।
মুদির দোকান ধরে ভিক্ষা বৃত্তি থেকে বিদায় নেওয়া ভিক্ষুকরা হলেন- নন্দুয়ার ইউপির রামপুর বাজারে তোফাজ্জল হোসেন (৫৫) হোসেনগাঁও ইউপির রাউতনগর বাজারে কালুয়ানি বালা (৬৫) লেহেম্বা ইউপির গোগর চৌরাস্তা দাখিলা বেগম (৬০) কাশিপুর ইউপি টাঙ্গাগজ বাজারে দিলু মোহাম্মদ(৭০) রাতোর ইউপির রাতোর বাজারে তোফাজ্জল হোসেন (৫০) ধর্মগড় ইউপির জেলেখা(৬৫) ভরনিয়া মন্ডল পাড়া। অপরদিকে নেকমরদ ইউপির এলাজ উদ্দীনকে (৭০) ৫টি ছাগল দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার