পার্বত্যাঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে একটি মহল সক্রিয় বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। আজ রবিবার সকালে রাঙামাটিতে হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্ট'র মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের কর্মশালার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় ভিন্ন ভাষাভাষীর ভিন্ন জাতি গোষ্ঠী বসবাস করে। কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে তারা একসাথে বসবাস করে আসছে। ধর্ম ও জাতিগত মিল না থকলেও উৎসব সংষ্কৃতিতে ছিল দারুন মিল। ধর্ম যার যার উৎসবটাকে সবাই এক সাথে গ্রহণ করতো। এমন সম্প্রীতির চিত্র শুধু পার্বত্যাঞ্চলে দেখা মিলে। কিন্তু একটি মহল চায় এ সম্প্রতিকে ভেঙ্গে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে। তিনি এসব ষড়যন্ত্রকারীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সকল সম্প্রদায়ের জাতি গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম শফি কামালের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্ট এর মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচারক রঞ্জিত কুমার দাশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদীব কান্তি দাশ, রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, রাঙামাটি পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ সারওয়ার হোসেন, রাঙামাটি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাদল চন্দ্র দে, রাঙামাটি জন্মাষ্টমী উদ্্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশীষ দাশ গুপ্ত প্রমুখ।
রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার আরও বলেন, কারও প্ররোচণায় জাতিগত বিবেধ সৃষ্টি না করে, নতুন প্রজন্মকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মিল বন্ধ রচনা করার শিক্ষা দিতে হবে। শিশু কাল থেকে সচেতন করতে হবে নিজের সন্তানকে। ভালো শিক্ষা নিয়ে বড় হলে, তারই একদিন সুন্দর সমাজ গড়তে পারবে। তাই হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান বিবেচনা না করে আগামী প্রজন্মকে একজন সুন্দর মনের মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে বলে। তবেই এ অঞ্চলের সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও সমৃদ্ধশালী হবে।
এসময় তিনি সরকারের উন্নয়নের অংশ হিসাবে রাঙামাটি জেলায় ৩৪টি মন্দির ভিত্তিক গণশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাউন্ড সিষ্টেম প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন। পরে রাঙামাটি জেলার মন্দির ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক, অভিভাবক এবং রাঙামাটির সনাতন সম্প্রদায়ের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ