বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় চট্টগ্রামের এফবি সেমি পাওয়ার-৪ নামের ট্রলিং ট্রলারে ধাক্কায় বাগেরহাটের শরণখোলার ‘এফবি আল-কারিম’ নামের একটি ফিশিং ট্রলারের তিন জেলে সাগরে পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন।
এ সময় চার জেলে আহত হন। তাদেরকে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা রাজৈর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফিরে আসা এফবি আল-কারিম ট্রলারের চালক মো. আলম মাঝি জানান, রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন উপকূলে ১ নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া থেকে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ সাগরে মাছ ধরছিলেন তারা। এসময় চট্টগ্রামের এফবি সেমি পাওয়ার-৪ নামের একটি ট্রলিং ট্রলার এসে তাদের ট্রলারে সজোরে ধাক্কায় দেয়। ওই ট্রলিংয়ের ধাক্কায় পাঁচ জেলে সাগরে পড়ে যায়। এদের মধ্যে দুই জেলেকে উদ্ধার করা গেলেও জাফর (৩৫), খোকন (২৮) ও মনির (২৫) নামের তিন জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
এছাড়া, এ ঘটনায় আহত হয়েছে সুমন মোল্লা (২৮), আলামিন (৩২), ইসমাইল (২৫) ও সোলায়মান (৩০)। এদের বাড়ি শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলারটির মালিক এম সাইফুল ইসলাম খোকন জানান, ট্রলিং ট্রলারের আঘাতে তার ট্রলারের ২৫টি জালসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে শরণখোলা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ বলেন, ট্রলার মালিক প্রাথমিকভাবে অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাগেরহাট জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন সময় ট্রলিং ট্রলারগুলো আমাদের ফিশিং ট্রলারের ওপর হামলা চালায়। এতে অনেক সময় ট্রলার ডুবে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম