২২ অক্টোবর, ২০১৯ ১৪:২৮

দুপচাঁচিয়া পৌরসভায় ৫ বছরে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫১ টি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন

আব্দুর রহমান টুলু,বগুড়া

দুপচাঁচিয়া পৌরসভায় ৫ বছরে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫১ টি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভায় গত প্রায় ৫ বছরে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫১টি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। এছাড়াও আরো ৮ কোটি টাকার ছয়টি প্যাকেজের কাজ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

দুপচাঁচিয়া পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে, ১০.৩৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ৩৫ হাজার ৭শ ২৮ জনসংখ্যার মাঝে ১৭ হাজার ৯শত ৯৫ ভোটারের অধ্যুষিত দুপচাঁচিয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ বেলাল হোসেন। ২০১৪ সালের ২৮শে ডিসেম্বর নির্বাচনে তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। খ ক্যাটাগরির পৌরসভা নিয়ে তার যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদা ভোগ করছে। মেয়র বেলাল হোসেন দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর ১০ মাস তার দায়িত্ব পালন কালে পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় পরিণত করার পাশাপাশি পৌর অডিটরিয়াম সহ গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এর ই-জিপির আওতায় পৌর এলাকার রাস্তা ঘাট, সেতু-কালভার্ট, ড্রেন নির্মাণ, মসজিদ, মন্দিরের উন্নয়ন সহ প্রায় ৫১টি প্রকল্পের কাজ প্রায় ২৫ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করেছেন। এছাড়াও রাস্তায় আলোকিত করা, পয়ঃনিষ্কাষন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, হাট-বাজারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মাদক দমন, আইন শৃঙ্খলা উন্নয়ন, ৮০ ভাগ পৌর কর আদায়, ৯৯ ভাগ জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। 

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভায় মেয়র বেলাল হোসেন জানান, এলাকায় টেন্ডার বাজি ছাড়াই সব ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন দল বা গোষ্ঠি তার কাছে বিবেচ্য নয়। পৌরসভার দায়িত্ব ভার নেওয়ার পর থেকে বিগত প্রায় পাঁচ বছরে ২৪ কোটি ৯২ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রায় ৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দুপচাঁচিয়া পৌর অডিটরিয়াম নির্মাণ, প্রায় ১ কোটি ১ লাখ টাকা ব্যয়ে মেইল বাসষ্ট্যান্ড হতে ধাপ হাটের রাস্তা কার্পেটিং এবং আরসিসি ড্রেন নির্মাণ, প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা পরিষদ মোড় হতে মহিলা কলেজ হয়ে তিষিগাড়ী পর্যন্ত রাস্তার কার্পেটিং ও আরসিসি ড্রেন নির্মাণ, প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে দুপচাঁচিয়া সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গোল চত্বর সহ রাস্তার সুন্দর্য বর্ধন করন, ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মরাগাঙ্গী খালের উপর ব্রিজ নির্মাণ, প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে বোরাই কালীবাড়ি মহাশশ্মানের চুল্লি, সিমানা প্রাচির ও বসার স্থান নির্মাণ, ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিমশহর স্কুলের গেট সহ সিমানা প্রাচির ও গাইডওয়াল নির্মাণ, ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ধাপহাটের ঈদগা মাঠ আরসিসি করন। ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সিও অফিস বাসস্ট্যান্ডে ইলেকট্রিক পোল স্থাপন ও স্টিক লাইটিং করন, প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড আধুনিক যাত্রী ছাউনি নির্মাণ সহ প্রায় ৫১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন।

এছাড়াও প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়টি প্যাকেজে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্পগুলোর কাজ শুরুর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ভোটের আগে সবাইকে নিয়ে আইন শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে মিলে মিশে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার মনে হয় তিনি সেটা করতে পেরেছেন। তিনি পৌরবাসীকে সেবা দিতে পেরে তৃপ্ত। যারা তার সঙ্গে দেখা করার জন্য আসেন তাদের সবার সাথেই কথা বলার চেষ্টা করেছেন। তবে এখনো অনেক কাজ বাঁকি রয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের বিনোদনের জন্য একটি শিশু পার্ক ও পৌর মার্কেট নির্মাণ জরুরী জায়গার অভাবে তিনি তা করতে পারেন নি। এছাড়াও পৌরসভার তিনটি স্ট্যান্ড এলাকায় রিক্সা, ভ্যান, ভটভটি স্ট্যান্ড সহ পাবলিক টয়লেট স্থাপনের পরিকল্পনা থাকলেও জায়গার অভাবে তা সম্ভব হয় নি। আগামীতে এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পরিকল্পনাও তার রয়েছে বলেও জানান। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর