২২ অক্টোবর, ২০১৯ ১৮:৩১

খাঁচায় মাছ চাষ করে স্বাবলম্বীর স্বপ্ন দেখছে ১০ পরিবার

দিনাজপুর প্রতিনিধি

খাঁচায় মাছ চাষ করে স্বাবলম্বীর স্বপ্ন দেখছে ১০ পরিবার

মাছ চাষের অবস্থা দেখতে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসিম আহমেদ ঢেপা নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

মৎস্য উৎপাদনে দিনাজপুরের নদীতে বিদেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাঁচায় মাছ চাষ প্রকল্প দিন দিন জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। এই খাঁচায় মাছ চাষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষিরা সুফল পাওয়ার পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। আবার জেলার মৎস্য চাহিদা পূরণেও অবদান রাখছে। নদীতে এই পদ্ধতিতে চাষ করলে মাছও সুস্বাদু হয়। 

দিনাজপুরের কাহারোলে নদীতে খাচায় মাছ করে ১০টি পরিবার এখন স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। কাহারোল উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের রামপুর দাস পাড়া গ্রামের পূর্নচন্দ্র রায়, ডিপসাহাসহ ১০ পরিবার গত আগস্ট মাস থেকে ঢেপা নদীতে খাঁচায় তেলাপিয়া মাছ চাষ করছে। 

মৎস্য অফিস জানায়, খাঁচায় মাছ চাষ করলে রোগবালাই কম হয়। পানি যেহেতু প্রবাহমান থাকে তাই পানি দূষিত কিংবা গন্ধ হয় না। এ কারণে খাঁচায় চাষ করা মাছের স্বাদ পুকুরে মাছের চেয়েও বেশি হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে মাছ কোনভাবে যেন বের হয়ে যেতে না পারে। 

কাহারোল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু জাফর মো. সায়েম জানান, ঢেপা নদীতে ১০টি খাঁচায় মাছ চাষ হচ্ছে। মৎস্যজীবী পূর্নচন্দ্র রায়, ডিপসাহাসহ ১০ পরিবারকে উপজেলার অর্থায়নে খাঁচায় মাছ চাষ করার জন্য মাছের পোনা, খাঁচাসহ প্রথমবার মাছের খাবার দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। পরিকল্পনামাফিক এই মাছ চাষ করলে লাভবানের পাশাপাশি বেকারত্ব দূর করা সম্ভব। নদীর প্রবাহমান পানি ব্যবহার করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যাবে, এছাড়া বেকার যুবক ও নারীদের  আত্মকর্মসংস্থান সম্ভব।

এদিকে, মাছ চাষের অবস্থা দেখতে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসিম আহমেদ ঢেপা নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। তিনি আশা করেন খাঁচায় মাছ চাষ প্রকল্প আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। 


বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর