নরসিংদীর রায়পুরার আমিরগঞ্জ এলাকায় স্ত্রীকে উঠিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে শফিকুল ইসলাম (২৫) নামে এক মোবাইল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি তাজা ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়য়নের মোল্লাবাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শফিকুল শিবপুর উপজেলার কুন্দারপাড়া গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে। সে নরসিংদী ইনডেক্স প্লাজায় মোবাইল সাভিসিং এর ব্যবসা করত। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কথিত স্ত্রী রহিমাকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, নিহত শফিকুল ইসলামের সাথে শহীদ আসদ কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী হেলেনার কাবিন হয়। এর জের ধরে গত সপ্তাহে স্ত্রী রহিমা আক্তারকে উঠিয়ে নিতে আসে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তারা মেয়েকে উঠিয়ে দিতে রাজি হয়নি। এর জের ধরে আজ বুধবার দুপুরে নিহত শফিকুল ইসলাম পুনরায় লোকজন নিয়ে তার কথিত স্ত্রীকে উঠিয়ে আনতে যায়। ওই সময় মেয়ের বাড়ির লোকজন মেয়েকে দিতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মেয়েকে জোরপূর্বক উঠিয়ে আনার চেষ্টা করে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে কথিত স্ত্রীর লোকজন শফিকুলকে ধরে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
তবে শফিকুলের কথিত স্ত্রী রহিমা আক্তার দাবি করেন, নিহত শফিকুল ইসলাম কলেজ থেকে টিসি তুলে দেওয়ার কথা বলে একটি কাগজে সই নেয়। পরে তা এফিডেভিট করে বিয়ে সম্পাদন করে। এরপর থেকে সে নিয়মিত তাকে ব্ল্যাকমেইল করত। তার কাছে ৫ লক্ষ টাকাও দাবি করেন শফিকুল। সর্বশেষ বুধবার দুপুরে সে লোকজন নিয়ে আমাকে উঠিয়ে নিতে আসে। এরমধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায়। তবে কিভাবে মারা গেছে জানতে চাইলে তার কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
নিহত শফিকুল ইসলামের বাবা খোরশেদ মিয়া বলেন, মেয়েটি আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে খুন করেছে। এ ব্যাপারে নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, মেয়েটির সাথে নিহতের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। কিন্তু মেয়েটি বিবাহিত। তবে হত্যার ঘটনাটি এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে পরিষ্কার করে বলা সম্ভব হবে এ হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক