১৯৮৫ সালে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের এডিবি তহবিল থেকে চাপিলা ইউনিয়নের চাকল বিলে নির্মাণ করা হয় কালভার্ট ও কাঁচা সড়ক। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৬ বছর পরও কালভার্টটি আজও ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু ১৯৮৮ সালের বন্যায় মাটি ধসে ওই কালভার্টের দুই পাশের সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। ফলে চাপিলা ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, এক সময় চাকলের বিল কেন্দ্রিক মোকিমপুর, তেলটুপি, রওশনপুর, নওপাড়া, ঝাউপাড়া, সোনাবাজু গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার বাইরে ছিলো। তাদের যোগাযোগের পথ সহজ করতেই বিলের মাঝে কালভার্ট ও সড়ক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সেখানে কোনো সড়ক না থাকায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামবাসী। বিকল্প অতিরিক্ত আট কিলোমিটার পথে ঘুরে যাতায়াত করতে হয় এসব গ্রামের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীদের।
সড়কটি সংস্কার প্রসঙ্গে চাপিলা ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন ভুট্টু বলেন, এ ব্যাপারে নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সাংসদকে কালভার্টের দুইপাশের সড়ক সংস্কারের প্রস্তাব জানানো হয়েছে।
তবে সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, চাকলের বিল কেন্দ্রিক ওই গ্রামগুলোর মানুষের কথা ভেবে সেতুটি সংস্কার ও নতুন সড়ক নির্মাণ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল