ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া ঝালকাঠিতে জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বিভাগের অন্য জেলার সাথে সাথে ঝালকাঠিতেও টানা ২৭ ঘণ্টা পরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয় সোমবার বেলা ১২ টার পর থেকে। এরপর ধীরে ধীরে ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্কও স্বাভাবিক হয়। একই সাথে অভ্যন্তরীন সড়কপথে গণপরিবহন ও নৌপথে লঞ্চসহ যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা সূত্রে জানা গেছে, পুরো জেলায় ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার দুপুরে ঝালকাঠি সদর, রাজাপুর, কাঠালিয়া ও নলছিটিসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রাপ্ত তথ্য নিরুপন করে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ঝালকাঠি জেলায় আংশিক ও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১ হাজার ৩৩৩টি ঘর। এছাড়া ৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যদিও জেলার ৪ উপজেলার মধ্যে কোথাও কোন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি, তবে ১৪ হাজার ৫ শত হেক্টর রোপা আমন ধান, ৫৫০ হাজার হেক্টর সবজি ক্ষেত ও ৭৫ হেক্টর পানের বরজের ক্ষতি সাধন হয়েছে।
পাশাপাশি ৭৪৮টি মৎস্য ঘের ও পুকুর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, যার আর্থিক হিসাব অনুযায়ী ২ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
এদিকে জেলা জুড়ে প্রচুর গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটলেও তার হালনাগাদ তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি, তবে সর্বোশেষ হিসাবে অনুযায়ী জেলার ৪ উপজেলায় ৪১৫ কিলোমিটার কাঁচা, আধা পাকা ও পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে।
জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তাছবীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ