১৭ নভেম্বর, ২০১৯ ২২:২০

লামায় বিষপানে গৃহবধূর মৃত্যু

লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি:

লামায় বিষপানে গৃহবধূর মৃত্যু

পাওনা টাকা চেয়ে অপমানিত হওয়ায় অভিমানে বিষপান করে লামা উপজেলায় এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ২টায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে বিষপানের ২দিন পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। 

নিহতের স্বামী মো. ইসহাক জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাত ৮টায় আমার স্ত্রী পাশের বাড়ি এনামের রান্না ঘরে গিয়ে বিষপান করে। খবর পেয়ে আমরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে কক্সবাজার হাসপাতালে রেফার করে। বিষপানের ২দিন পরে রবিবার দুপুর ২টায় তার মৃত্যু হয়।
   
বিষপানের মৃত্যু গৃহবধূ কামরুন নেছা (৩৫) উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বৈক্ষম পাড়ার মো. ইসহাক এর স্ত্রী ও ৩ সন্তানের জননী। 

এই বিষয়ে জানতে সরেজমিনে রবিবার বিকেলে কামরুন নেছার বাড়িতে গেলে তার বড় মেয়ের সাথে কথা হয়। নিহতের বড় মেয়ে ইসমত আরা (১৯) জানান, আমার বিয়ের বিষয়ে ফার্ণিচার তৈরি করতে আমার মা পার্শ্ববর্তী মো. এনাম ও মো. কাদেরকে ৬ মাস আগে ১২ হাজার টাকা দেয়। তারা টাকা নেয়ার পর ফার্ণিচার দেয়নি এবং টাকাও ফেরত দিতে তালবাহানা করছিল। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার বিচার শালিস হয়। ১৫ দিন পরে টাকা দিয়ে দেবে বলেও ২ মাস পার হয়ে গেলে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার মা কামরুন নেছা এনামের কাছে টাকা চায়। পাওনা টাকা চাইলে এনাম তার স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন আমার মাকে প্রচণ্ড গালিগালাজ অপমান অপদস্ত করে। অপমান সইতে না পেরে তিনি রাত ৮টায় এনামের রান্না ঘরে গিয়ে তাদের সামনে বিষপান করে। চিৎকার শুনে আমার বাবা ও অন্যান্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

প্রতিবেশী আবু তাহের (৫৫), জাহানারা বেগম (৪৫) ও খাইরুল বশর (১৮) বলেন, পাওয়া টাকা চাওয়ায় কামরুন নেছাকে অপমান করে এনাম, কাদের ও তাদের পরিবারের লোকজন। সেই ক্ষোভ থেকে সে বিষপান করে। ফার্নিচারগুলো তৈরি করে না দেয়ার কামরুন নেছা তার সদ্য বিয়ে দেয়া মেয়েকে জামাইয়ের বাড়িতে তুলে দিতে পারছিল না। 
 
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. শাহ আলম বলেন, আমি নিহত কামরুন নেছার সাথে কক্সবাজারে আছি। সোমবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিয়ে লামা ফিরে যাব। 

বিষপানে মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, লাশ এখনো কক্সবাজার হাসপাতালে। সোমবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর